ব্ল্যাকরক সিন্ডিকেট-বিশ্ব অর্থনীতি জুড়ে যার আধিপত্য -How Blackrock Controls Economy
বিশ্বের শীর্ষ সব ধনীদের সকালে কিনে সন্ধ্যায় বিক্রি করে দিতে পারবে এমনো কি কোনো প্রতিষ্ঠান আছে? ধারনা করা হয় অ্যাপল(Apple), গুগ্ল(google) ,ফেসবুক(facebook)- এই ৩টি প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এমন কি কেউ আছেন যিনি এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছেন? বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সিংহভাগ অর্থ ও ক্ষমতা অল্প কিছু মানুষের কাছে গচ্ছিত রয়েছে আর তারাই নাকি পৃথিবীর সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। দূর্যোগ-মন্দা-যুদ্ধ যাই হোক না কেন তাদের অর্থের পরিমান কোন কিছুতেই কমবে না। বরং বাড়তেই থাকবে। এটা কি সত্যিই সম্ভব? আর কারাই বা এই মানুষগুলো?
আজকে এমনই একজন মানুষ এবং তার প্রতিষ্ঠানের সত্য তুলে ধরব এই ব্লগ এ, যে ৯.৩ ট্রিলিয়ন ডলার পরিমান সম্পদ একাই সামলায়। আচ্ছা বলুন তো ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে কত টাকা হয়? ১০০০ বিলিয়ন সমান ১ ট্রিলিয়ন, যা বাংলাদেশের GDP থেকে ১৮ গুণ বেশী। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন ও সাউথ কোরিয়া এই তিনটি দেশের GDP কে একত্র করলেও সংখ্যাটি তার মূল্যের সমান হবে না।
কে এই মানুষটি?
বলছি কালো পাথর বা BlackRock ও তার প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি ফিংক(Larry Fink) এর কথা।
কিন্তু একজন মানুষের কাছে এত টাকা এল কিভাবে? কে এই ল্যারি ফিংক(Larry Fink)? Blackrock কি? কোথা থেকে পেল এত টাকা ? কোথায় বিনিয়োগ করে এই টাকা?
ল্যারি ফিংকের(Larry Fink) মতো কিছু মানুষ কিভাবে তাদের ব্যবসার সাম্রাজ্য এমনভাবে গড়ে তোলে যে, যাই ঘটুক না কেন, তাদের ব্যবসার কখনো পতন হবে না? যুগের পর যুগ টিকে থাকার কি সেই গোপন রহস্য? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সকল প্রশ্নের উত্তর।
প্রথম প্রশ্ন, কে এই ল্যারি ফিংক(who is Larry Fink)?
ল্যারি ফিংক(Larry Fink) নামের এই মানুষটি যা করেছেন তা করতে অনেকখানি সাহসের প্রয়োজন হয়। হয় মন ভেঙ্গে চুরে যেতে হয়, নয়তো ঘা লাগাতে হয় আত্মসম্মানে।
রাস্ট্রবিজ্ঞানে পড়ালেখা করে উপার্জনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন স্টক মার্কেট। রাজনীতি নিয়ে আসে ক্ষমতা, স্টক মার্কেট নিয়ে আসে টাকা। আর যার মেধা দু’টোতেই রয়েছে, তিনি তো বড় খেলা খেলবেনই।
২৩ বছর বয়সে ল্যারি Boston-এ একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে debt syndication নামের একটা কন্সেপ্ট উদ্ভাবন করেছিলেন – যা অর্থনীতির জগত তোলপাড় করে দেয় এবং পুরো বিশ্বে দুই দুইবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনে।
কি এই Debt Syndication?
এটি এমন একটি কনসেপ্ট যা একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অঙ্কের ঋণ সংগ্রহ করার বদলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষুদ্র অংকের ঋণ সংগ্রহ করে এবং বহুমুখী ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
একদিন হঠাৎ করে একটা নীতি পরিবর্তন করার ঘোষণা দেয় সরকার। ফলে সুদের হার অনেকখানি কমে যায়। আর তাতেই ৩ মাসের মাথায় প্রতিষ্ঠানের লোকসান এসে দাঁড়ায় ১০০ মিলিয়ন অর্থ্যাৎ ৮০০ কোটি টাকা !
৩৩ বছর বয়সে ল্যারি ফিংকের এত দিনের গড়া সুনাম নিমিশেই ধুলোয় মিশে যায়। বর্তমান প্রতিষ্ঠানও এক ঝটকায় তাকে চাকরী থেকে ছাটাই করে দেয়। সাফল্যের চূড়ান্তে থেকে এক ধাক্কায় বুঝি মাটিতে পড়ে গেলেন ল্যারি। ঘা লাগলো আত্মসম্মানবোধে। শুরু হল বেকার জীবন।
ভাবতে থাকলেন ভুলটা কোথায় ছিল?
ভুলটা ছিল- ঝুঁকি বুঝতে না পারা। আর এটাই তার জীবনের মোড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিল। রচনা করলো এক অকল্পনীয় ইতিহাস।
১৯৮৮ সালে তিনি কোটিপতি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও Blackstone Group-এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ সোয়ার্জম্যান (Stephen A. Schwarzman) কে সাথে নিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মাত্র ৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা ।
এক-ই সময় General Electric বা GE এর stock, bond, cash-এর মতো বেশ কিছু অর্থ সম্পদ আটকে ছিল। যেহেতু debt syndicate ল্যারি ফিংকের-ই উদ্ভাবন তাই সমাধানের জন্য ডাকটাও তারই পড়লো। তিনি এই সমস্যার চমৎকার সমাধান করে দিলে General Electric তার এই পুরো বিভাগটির দায়িত্ব তাকেই অর্পণ করলো।
আর যখন General Electric তার উপর ভরসা করলো, তখন বাকীরাও বিশ্বাস করা শুরু করলো। মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই ২০ বিলিয়ন সম্পত্তি তার তত্তাবধায়নে ব্যবস্থাপনা হতে থাকলো যতক্ষণ না কাহিনীতে একটি টুইস্ট দেখা দিল।
ল্যারি ফিংক Blackstone-এর বড় একটা অংশ কিনে নিয়েছিলেন এবং ল্যারি ও তার পার্টনার স্টিভ দুইজন-ই চাচ্ছিলেন Blackstone-কে যার যার মতো করে চালাতে। এতে শুরু হল মতের সংঘর্ষ। ফলে ঠিক হলো তারা আলাদা হয়ে যাবেন -যেটা ছিল স্টিভের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ভুল।
ল্যারি আলাদা হয়ে গেলেন Blackstone থেকে।
গড়ে তুললেন নতুন এক প্রতিষ্ঠান যার নাম- Blackrock ।
দু’টোই পাথর। একজনেরটা STONE অন্যজনেরটা ROCK ।
Blackrock কি করে? কোথা থেকে এসেছে এত টাকা?
ধরুন সরকারের কাছে পেনশন তহবিল আসছে ৩০ বছর ধরে। টাকাটা কম ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করা দরকার। কিন্তু কোথায়? এখানেই দরকার Blackrock-কে। দক্ষ হাতে সে সামলাতে পারে বিপুল পরিমান তহবিল। নিশ্চিত করে যেন বিনিয়োগের কোন লোকসান না হয়। এ শুধু একটি দু’টি দেশ বা তহবিলের কথা নয়। বরং অজস্র দেশ, তহবিল ও সেন্ট্রাল ব্যাংকের অর্থ বিনিয়োগের দায়িত্ব পালন করে Blackrock, অর্থ্যাৎ আমরা যাকে টাকা দেই, তারা সে টাকাটা তাকে দেয়।
পৃথিবীর ৩০০ টি সবচেয়ে বড় পেনশন তহবিল একত্রে করলে ৬ ট্রিলিয়ন হয়। আর সে একাই সামলাচ্ছে ৯ ট্রিলিয়নের বেশী!
তহবিল দেখার সাথে সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অডিটিং ও হিসাব নিকাশ দু’টোই দেখে BlackRock, সরকারকে আর্থিক সংকট মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে এবং সাথে দেয় পরামর্শ সেবা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের তাদের এই পরামর্শ বিভাগটি এতই ক্ষুদ্র যে হিসাবের খাতাতেও ঠায় জোটে না এটির।
আমেরিকান GDP-এর শতকরা ৫০ ভাগ-ই Blackrock এর। পৃথিবীর সমস্ত শেয়ার ও সমস্ত ব্র্যান্ডের সমমূল্যের শতকরা ১০ ভাগও শুধুমাত্র Blackrock এর-ই। Blackrock -ই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় shaddow Bank যে পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় রাখে।
কিন্তু এত টাকা প্রতিষ্ঠানটি কোথায় বিনিয়োগ করছে? কিভাবে পুরো দুনিয়ার কল-কাঠি নাড়ছে? কিভাবে ঠিক করছে সে- বছরের পর বছর তারা ঠিক এক-ই জায়গায় অনড় থাকবে?
পৃথিবীর ১ নম্বর প্রতিষ্ঠান Google-এর সাড়ে ৬ ভাগ ,
Disney-এর ১২ ভাগ এবং Fox-এর ১৮ ভাগ অংশের মালিকানা Blackrock-এর দখলে।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত যেমন তেল, গ্যাস, যানবাহন, এনার্জি, খাদ্য ও Insurance-এর মতো খাতে এবং এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপসহ সবগুলো বড় দেশের বাঘা বাঘা প্রতিষ্ঠানগুলোতে Blackrock-এর অনেক বড় অংশের বিনিয়োগ রয়েছে।
কিন্তু খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি Circular Ownership নামের বিনিয়োগের একটা চক্র তৈরী করে। Circular Ownership হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে Blackrock-এর বিনিয়োগ করে, সে প্রতিষ্ঠানগুলোও পাল্টা Blackrock-এ বিনিয়োগ করে। যেমন অ্যাপলে Blackrock-এর কিছু শেয়ার রয়েছে। তেমনিভাবে অ্যাপলেরও কিছু শেয়ার Blackrock-এ রয়েছে।
Blackrock এতটাই প্রভাবশালী যে ২০০৮ সালে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিল, তখন কোন ব্যাংকগুলো আমেরিকার তহবিল থেকে সাহায্য পাবে তার সিদ্ধান্ত এল একটি বন্ধ দরজার বৈঠক থেকে। বৈঠকে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাংক অর্থ পেল। কোন সে ব্যাংকগুলো? যেগুলোতে Blackrock-এর আগে থেকেই অনেক বড় বিনিয়োগ ছিল। সিদ্ধান্তটি কে দিয়েছিলেন? বৈঠকে উপস্থিত স্বয়ং ল্যারী লিংক।
আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই অর্থনৈতিক সংকটও ল্যারী লিংকের নিজেরই রচনা করা। সেই বন্ধ দরজার বৈঠকের আয়োজকও আর কেউ নয়। বরং ছিল তার-ই কোম্পানী Blackrock।
সমস্যাও নিয়েও আসেন তিনি, সমাধানও তিনিই করেন। যাদের সাহায্য করে সমাধান করেছেন তাদের মালিকানাটাও আবার তিনি নিজেরই।
এমন কি ২০২০ সালের করোনায় বন্ড মার্কেটে ধ্বশ নামার সময়েও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। আমেরিকার সরকারের তহবিল সামলানোর দায়িত্ব সেই ল্যারি ফিংককেই দেওয়া হয়েছিল। এবং তিনি সেই কোম্পানীগুলোকেই বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন যে কোম্পানীগুলোতে তার নিজেরই বড় অংশের বিনিয়োগ ছিল। তাও আবার সরকারী টাকা থেকে। সাথে নিলেন পরামর্শ দেওয়ার ফী।
কিন্তু এমন কেন? আইনে বা কোথাও কি এর কোনো জবাবদীহিতা নেই?
উত্তর হচ্ছেঃ- না, নেই।
কারণ ব্যাংকের সাথে কাজের মিল থাকলেও Blackrock শুধু সম্পদ পরিচালক মাত্র। ডিপোজিট গ্রহণ করে না বিধায় ব্যাংকের খাতায় তার নাম লেখানো যায় না। তাই সবমিলিয়ে আইন বা সরকারের ধরা ছোয়ার একদমই বাইরে সে।
কথা হচ্ছে, এত ক্ষমতাধর মানুষ, এত বিশাল কোম্পানী, কিন্তু আমরা তাকে চিনি না কেন? বিশ্বের মিডিয়ার সিংহভাগই যার হাতে, সে তো চাইলে রোজই খবরে আসতে পারে। কেন আসে না ? কারণ, সে নিজেই চায় না যে আমরা তাকে চিনি। কিন্তু কেন?
আমরা খাবার-কাপড়-জুতা যাই কিনি না কেন, বাসা-অফিস-ব্যাংক-হোটেল যেখানেই যাই না কেন, যাই-ই করি না কেন, সব জায়গায় বোনা রয়েছে তাদের বিনিয়োগ জাল। ইউরোপ বিপদে পড়লে রোজগার আসবে এশিয়া থেকে, একটি এক শিল্পের পতন হলে আয় হবে অন্য শিল্প থেকে। পৃথিবীতে যাই ঘটুক, দূর্যোগ কিংবা যুদ্ধ, তাতেও তার রোজগার কমবে না, বরং বাড়বে। কারণ অস্ত্র কোম্পানীতেও তার রয়েছে ভালো রকম বিনিয়োগ।
চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে শুধু যে পৃথিবীর অধিকাংশ তার দখলে আছে তা নয়, আছে পৃথিবীর শতকরা ৯০ ভাগ তথ্য ও। শুনতে অবাক লাগলেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে যে আমাদের ব্যাংকে কত টাকা আছে, আমাদের পছন্দের পণ্য ও চাহিদা, মোবাইলের তথ্য, এমন কি বাড়ির ঠিকানার খবর পর্যন্ত Blackrock জানে।
কিন্তু কি করে সে এই বিশাল পরিমান তথ্য দিয়ে?
আর এত সব কিছু হচ্ছেই বা কিসের মাধ্যমে ?
উত্তর হচ্ছে- আলাদীন!
না। গল্পের জ্বীনি ও সেই আলাদিন নয়। বরং তার থেকেও বিস্ময়কর একটি সফটওয়্যার এই আলাদিন- যা ৭ কোটি টাকা লাগে শুধুমাত্র ইনস্টল করতেই। আর সাবস্ক্রিপশন ফি? বছরে ৪২ কোটি টাকা। ৬৫ টি দেশে ৬.৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে এই সফটওয়্যারটির। একটি দু’টি নয়, পুরো ৫ হাজার কম্পিউটার প্রয়োজন হয় এই বিশাল তথ্যের দেখাশোনা করতে।
এই আলাদিন তার কাছে জমাকৃত পৃথিবীর সুবিশাল তথ্যভান্ডারকে ২ হাজার ঝুঁকির মানদন্ডে দ্রুততম সময়ে বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ লাভজনক খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে সাহায্য করে তার ৮০০-রো বেশি কাস্টমারের ৯ ট্রিলিয়ন সম্পদকে।
ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে Blackrock এখন চীনেও বিনিয়োগ করার অনুমতি পেয়ে গেছে যার মানে হচ্ছে চীনের প্রভাব পুরো পৃথিবীতে এবার বাড়তেই থাকবে।
শুধু তাই নয়, আমেরিকার ৪র্থ সরকারও বলা হয় এই Blackrock-কেই। বলা হয়ে থাকে, এটি যদি একটা দেশ হতো তাহলে এই দেশের অর্থনীতি হতো বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম অর্থনীতি।
আর তাই তো খেলার বোর্ডও সে সাজায়, খেলেও সে, এবং ট্রফিটাও যে তারই হবে সেটাও ঠিক করা থাকে আগে থেকেই। চাইলে ইচ্ছামতো গুড়িয়ে দিতে পারে যে কোনো দেশের অর্থনীতি। আর এই খেলা চলতে থাকবে— যুগের পর যুগ—অবিররত—-লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে।
কেমন লাগলো আমাদের আজকের ব্লগটি? কমেন্টে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। ব্লগটি ভাল লেগে থাকলে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকবেন। কথা হবে পরবর্তী কোন ব্লগ-এ। রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।