Square Group BD | বাংলাদেশে স্কয়ার গ্রুপ এর সফলতার রহস্য
স্কয়ার গ্রুপ লিমিটেড (SQUARE GROUP LIMITED)
যদিও স্কয়ার (square) বলতে আমরা কোন জ্যামিতিক আকার বা আকৃতিকেই বুঝি। কিন্তু, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে স্কয়ার একটি সফলতার গল্পের(success story) নাম। স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। রাতারাতিই কিন্তু এই কোম্পানি এমন সফলতা অর্জন করেনি। ৪ বন্ধুর ২০,০০০ হাজার টাকায় জন্ম নেয়া স্কয়ার যেনো নিজের নামের সার্থকতাই বজায় রেখে চলেছে বছরের পর বছর। জ্যামিতিক হারেই বেড়ে চলেছে তাদের সম্পদ। বিশ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করা স্কয়ারের বর্তমান বার্ষিক লেনদেন ১১ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। আমাদের আজকের ব্লগের বিষয় স্কয়ার গ্রুপের সফলতার গল্প। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার আহবান রইলো।
স্কয়ার এর জন্ম ও এর স্বপ্নদ্রষ্টা
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ঔষধ(medicine) প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৮ সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী (Samson H. Chowdhury) এবং তার তিন বন্ধু মিলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের এই জায়ান্ট কোম্পানীটির মূল স্বপ্নদ্রষ্টা। শুরুতে বাবার কাছ থেকে টাকা ধার করে আতাইকুলাতে ই সন্স নামে ছোট একটি ওষুধ কোম্পানি তৈরি করেন। পরে সেটিকে বড় করতেই তিন বন্ধুকে সঙ্গে নেন। কাজী হারুনূর রশীদ, পি কে সাহা ও রাধাবিন্দ রায়কে নিয়ে ১৯৫৮ সালে স্কয়ার নামে একটি ওষুধ কোম্পানি করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তখন তাঁদের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা। চারজনের সমান বিনিয়োগ বলে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় স্কয়ার। ১৯৭১ সালে রাধাবিনোদ রায় নিজের মালিকানার অংশ ছেড়ে দেন। তবে হারুনূর রশিদ আর পি. কে. সাহার মালিকানার অংশ এখনো রয়ে গেছে।
চার বন্ধু মিলে কোম্পানিটি গড়ে তুললেও নেতৃত্বে ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। শুরুতে পাবনায় নিজ বাড়ির কাছেই কোম্পানির কারখানা তৈরি করেন তিনি। শুরুতে স্কয়ার ফার্মা সিরাপজাতীয় ওষুধ তৈরি করত। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে কোম্পানির পরিসরও বড় হতে থাকে। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে এসে বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের (johnson & johnson) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় স্কয়ার। সেই সময়টাতে দেশের ওষুধের বাজারে একচেটিয়া প্রভাব ছিল বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর। জনসনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এ দেশে জনসন কোম্পানির জন্য ওষুধ উৎপাদন শুরু করে স্কয়ার। ফলে ওষুধের বাজারে একটি শক্ত ভিত তৈরি হয় স্কয়ারের। কিন্তু ১৯৮২ সালে এসে এরশাদ সরকার বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশীয় কোম্পানিগুলোর চুক্তি ও সনদ বাতিল করে দেয়। পাশাপাশি দেশের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ বা এসেনশিয়াল ড্রাগসের একটি তালিকা তৈরি করে। তত দিনে বিদেশি কোম্পানি জনসনের জন্য ওষুধ তৈরি করতে গিয়ে স্কয়ারের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। সেই সক্ষমতা দিয়েই ১৯৮৩–৮৪ সালের দিকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি শুরু করে স্কয়ার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কোম্পানিটিকে।
বর্তমানে বিশ্বের ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে স্কয়ার। এরমধ্যে রয়েছে এশিয়ার ১৯টি দেশ, আফ্রিকার ১৩টি, ওশেনিয়া অঞ্চলের ৩টি, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬টি এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করছে তারা। ওষুধ দিয়ে শুরু করলেও স্কয়ার গ্রুপের ব্যবসা বর্তমানে আটটি খাতে বিস্তৃত—স্বাস্থ্যসেবৎ, ভোগ্যপণ্য, বস্ত্র, মিডিয়া, টিভি ও তথ্যপ্রযুক্তি, নিরাপত্তা সেবা, ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স, হেলিকপ্টার ও কৃষিপণ্য। তাদের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ টি। কর্মী বাহিনী রয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এখনকার টার্গেট বিদেশে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে এরইমধ্যে কেনিয়ায় (Kenya) কারখানা তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে মূলত কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার ছয়টি দেশের ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ওষুধের বাজার ধরার চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শেয়ার বাজারে পদার্পন
১৯৯১ সালে এটি জনসাধারণের কাছে চলে আসে এবং ঢাকা (Dhaka) স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম (Chittagong) স্টক এক্সচেঞ্জ এর তালিকাভুক্ত হয়। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর স্কয়ার ফার্মা ১৯৯৫ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে ১০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সেই ৯০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০ কোটি দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গড়ে তোলা হয় স্কয়ার ফার্মার বিশাল কারখানা। বাকি ৪০ কোটি টাকায় তৈরি হয় স্কয়ার টেক্সটাইল।
গত ২০১৭–১৮ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কয়ার ফার্মার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৭৮২ কোটি টাকার। যা ২০১৮–১৯ অর্থবছরের মুনাফার পর বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকায়। কোম্পানি তাদের সম্পদের মূল্য হিসাব করেছে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে। বর্তমান বাজারমূল্য হিসাব করা হলে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অথচ ১৯৫৮ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। সেই ২০ হাজার টাকার কোম্পানি এখন পরিণত হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকার কোম্পানিতে।
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার কনজুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড
স্যামসন এইচ চৌধুরী যদিও স্কয়ারের যাত্রা শুরু করেছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স দিয়ে কিন্তু পরবর্তিতে সেটি ডাল পালা ছড়ায় ব্যবসার প্রায় প্রতিটি সেকটরেই। তারি ধারাবাহিকতায় তিনি নজর দেন টয়লেট্রিজ ও কনজুমার প্রোডাক্টস এর দিকে। তখনকার সময়ে মেয়েদের নারকেল তেলের প্রতি একটা বিশেষ দুর্বলতা ছিলো। স্যামসন এইচ চৌধুরী এই দুর্বলতাকেই কাজে লাগিয়েছেন। সে সময়কার মেয়েরা বিশ্বাস করতেন, নারকেল তেল মাথায় দিলে চুল কালো ও ঘন হয়। নারীদের দুর্বলতার কারণেই খাঁটি নারকেল তেল তৈরি করা শুরু করলেন তিনি। সেই থেকে জুঁই ব্র্যান্ডের তেল বাজারে বিক্রি শুরু হলো। এরপর সাবান সহ অন্যান্য প্রোডাক্ট আসে মেরিল (Meril) ব্রেন্ডের মাধ্যমে। টয়লেট্রিজ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে করতেই তারা নতুন আরেকটি আইডিয়া নিয়া কাজ শুরু করে।
ভোক্তার নিকট ভালো মানের পণ্য পৌঁছে দেবার তাগিদ থেকেই পাবনায় স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গেই স্কয়ার কনজুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও যাত্রা শুরু করে। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড থেকে নানা দিকে ব্যবসার প্রসার হতে থাকে। একটি পণ্য নিয়ে যে প্রতিষ্ঠানের শুরু, তা ক্রমেই ডালপালা ছড়াতে থাকে। নিজেদের বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে গিয়েই নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় এই জায়গায় নতুন অভিজ্ঞতা হয় কোম্পানিটির। পণ্য বিপণনের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের একটা যোগসূত্র তো আছেই। তাই একসময় নিজেরাই বিজ্ঞাপনী সংস্থাও গড়ে তোলে, নাম মিডিয়াকম(mediacom)। একি রকম ভাবনা থেকে জন্ম নেয় মাছরাঙা টেলিভিশন (Maasranga Television)ও।
পোশাক শিল্প ও হাসপাতালে হাতেখড়ি
নব্বইয়ের দশকে যখন বাংলাদেশে একে একে তৈরি পোশাকশিল্পের কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে। তখন স্পিনিং মিল করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কয়ার। পুঁজিবাজারে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে অর্জিত ৯০ কোটি টাকা্র ৫০ কোটি টাকা দিয়ে কালিয়াকৈরে স্কয়ার ফার্মার নতুন কারখানা স্থাপন ও বাকি ৪০ কোটি টাকা দিয়ে স্পিনিং মিল করা হয়। বর্তমানে গাজীপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা ও হবিগঞ্জে স্কয়ারের বস্ত্র ও পোশাক কারখানা রয়েছে। দুই যুগের ব্যবধানে স্কয়ার বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ বস্ত্রকল।
এরপর যাত্রা শুরু হয় স্কয়ার হাসপাতালের (Square Hospital)। স্কয়ার হাসপাতাল বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠান। তবে সেই মুনাফা উদ্যোক্তারা নেন না। পুনর্বিনিয়োগ করেন। এমনকি নিজেরাও হাসপাতালটি থেকে টাকা দিয়ে চিকিৎসা নেন।
মূল কান্ডারি স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার সন্তানেরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্যতম পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানকে। নতুন করে এখন যুক্ত হয়েছেন নাতি–নাতনিরা। স্কয়ারকে বহুজাতিক কোম্পানি করার উদ্যোগটি মূলত তাঁরাই নিয়েছেন। সে জন্য প্রায় ১৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় গড়ে উঠছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা।
আবার গত বছর তারা ঘোষণা দেয় যে এবার আসিয়ানভুক্ত দেশ ফিলিপাইনে ডানা মেলতে যাচ্ছে স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানিটি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর নামে স্যামসন ফার্মা ইনকরপোরেশন (samson pharmaceuticals inc.) নামে ফিলিপাইনে নতুন কোম্পানি খুলেছে। ফিলিপাইনে ৪৫০ কোটি ডলারের ওষুধের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি বা প্রায় ২২৫ কোটি ডলারের ওষুধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে দেশটি। আর এই বাজারটি ধরতেই নতুন কোম্পানিতে আড়াই মিলিয়ন বা ২৫ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে তারা জানায়। এর মধ্যে মূলধন বিনিয়োগ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০ লাখ ডলার। বাকি ১৫ লাখ ডলার ফিলিপাইনের বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ করবে কোম্পানিটি।
বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর তিন ছেলের মধ্যে বড় স্যামুয়েল এস চৌধুরী ওরফে স্বপন চৌধুরী (Swapan Chowdhury)। তিনি বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। মেজো ছেলে তপন চৌধুরী ( Tapan Chowdhury) স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল ও স্কয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ছোট ছেলে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু (Anjan Chowdhury) মাছরাঙা টেলিভিশন, স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একমাত্র মেয়ে রত্না (Ratna Chowdhury) পাত্র স্কয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। আর স্কয়ারের নেপথ্যের প্রেরণাদাতা হিসেবে রয়েছেন তাদের মা অনিতা চৌধুরী (Anita Chowdhury)। ব্যবসায়িক বা পারিবারিক যেকোনও বিষয়ে ভাই–বোনের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে বা যেকোনও জটিল পরিস্থিতির সমাধানে নেপথ্যে কাজ করেন তাদের মা।
স্কয়ার গ্রুপ তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের এবং বিদেশেরও অনেক মানুষের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। তাদের ওষুধ প্রস্তুতির মাধ্যমে তাঁরা দেশের অসুস্থ মানুষের কাছে যেমন পৌঁছেছে, তেমনি তাদের বস্ত্রশিল্প, মসলা জাতীয় পণ্য, দেশ বিদেশে যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তৈরির বিভিন্ন উপাদান প্রস্তুতকরনের মাধ্যমে তাঁরা তাদের ব্যবসা ও সেবা অনেক প্রসারিত করেছে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এরকম গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০০৭-২০০৮ সময়কালে দেশে সর্বচ্চ কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্কোয়ার কোম্পানি ‘এন বি আর’ পুরষ্কার লাভ করে। এগুলো স্কয়ার কোম্পানির অসংখ্য পুরস্কারের মধ্যে অল্প কিছু শুধু। এবং এগুলো দেখে খুব সহজেই অনুমান করা যায়, কোম্পানিটি কত দৃঢ়তার সাথে এখনো পর্যন্ত টিকে রয়েছে।
আজকের জন্য এই পর্যন্তই। ব্লগটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানাবেন । সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিদিন আপডেট পেতে চাইলে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন।