Honda জাপানের কলঙ্ক নাকি গর্ব? Success Story of Honda Motor Company
পৃথিবীর বুকে এমন কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম, যেগুলোকে সারাবিশ্ব একনামে চেনে । যেখানে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর তাদের অগ্রগতি ধরে রাখতে হিমশিম খায়, সেখানে এইরকম কোম্পানিগুলোকে ব্যবসার জগতে একেকটি মডেল হিসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে। আর এই গণ্যমান্য কোম্পানির তালিকা করতে গেলে, জাপানের হোন্ডা অটোমোবাইল কোম্পানির নাম উপরের দিকেই থাকবে। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল কোম্পানিটির উত্থানের গল্প হার মানাবে রূপকথাকেও। আর সেইসাথে চমকে দিবে বর্তমানে হোন্ডার প্রতিপত্তির গল্পও! সেই গল্পের মোড় আজ এমন কিছু পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, হোন্ডা যেন একইসাথে আজ জাপানের গর্ব, এবং কলঙ্ক! কিন্তু কেন আজ হোন্ডার এমন কুখ্যাতি? চলুন, আজ কথা বলা যাক জাপানের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির রাজা হোন্ডাকে নিয়ে।
হোন্ডার যাত্রা
হোন্ডার যাত্রা শুরু হয় মূলত জাপানের এক দরিদ্র গ্রামে। জাপানের শিজুকা ( Shizuoka (city)) প্রদেশের কোময়ো নামের এক গ্রামে, গিহেই হোন্ডা এবং মিকা হোন্ডা দম্পতির ঘর আলো করে ১৯০৬ সালে জন্ম নেন সোইচিরো হোন্ডা। বাবা ছিলেন কামার, যার আয়ে চলতো না সংসার। তাই মা মিকা হোন্ডা ঘরে বসে তাঁতির কাজ করতেন। হতদরিদ্র সংসারে বড় হতে থাকা সোইচিরো হোন্ডা অল্পবয়সেই লেখাপড়ার উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। স্কুলের রিপোর্ট কার্ডে বাবার স্বাক্ষর নকল করার মতো কাজও করতে শুরু করেন সোইচিরো হোন্ডা, সেইসাথে খুজতে শুরু করেন তার পছন্দের জায়গা, জীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করেন অন্যভাবে।
কিশোর বয়সেই সোইচিরো হোন্ডার জীবনে আসে এক নতুন মোড়। তার ছোট্ট গ্রামে হঠাৎ একদিন কেউ চার চাকার এক গাড়ি চালিয়ে আসেন কেউ। ফোর্ড কোম্পানির মডেল টি এর সেই গাড়িটি দেখে, নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সোইচিরো। প্রথমতো জীবনের প্রথমবার গাড়ি দেখার সৌভাগ্য, সেইসাথে গাড়ির প্রত্যেকটি কাজ সোইচিরোকে প্রথম প্রেমে ফেলার এক অনুভূতি এনে দেয়। আট বছর বয়সী সোইচিরো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুটতে শুরু করে সেই গাড়ির পিছনে, নিতে থাকে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসা পোড়া তেলের গন্ধ। সোইচিরোর কাছে তখন সেই গন্ধ পৃথিবীর যেকোনও দামি সুগন্ধির চেয়েও সেরা মনে হচ্ছিলো!
ফোর্ড মডেল টি এর সেই গাড়ি দেখার পরেই, অটোমোবাইলের প্রেমে পড়ে যান সোইচিরো (Saiichiro Honda)। সেখান থেকেই শুরু হয় সোইচিরো হোন্ডার গাড়ি বানানো আর গাড়ি সম্পর্কে জানার আগ্রহ। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই নিজের ছোট্ট গ্রাম ছেড়ে, সমাজের নিয়ম ভেঙে সোইচিরো হোন্ডা পৌছে যান টোকিয়োতে। ১৯২২ সালেই সেখানকার অটোমোবাইল রিপেয়ার কোম্পানি ‘আর্ট শোকাই’ তে যোগ দেন তিনি, আর ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেন একজন দক্ষ মেকানিক হিসেবে। প্রায় ছয় বছর সেখানে কাজ করার পর সোইচিরো হোন্ডা আবার তার নিজ এলাকায় ফিরে আসেন, এবং নিজের অটো রিপেয়ারের ব্যবসা শুরু করেন। এইসবকিছুর মাঝে সোইচিরো হোন্ডার মাথায় রেসিং এর ভুত পর্যন্ত ভর করেছিলো। তবে ১৯৩৬ সালে এক রেসে মারাত্মক দুর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি, যার ফলে সোইচিরো হোন্ডার বাম চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর সোইচিরো হোন্ডা রেসিং দুনিয়াকে বিদায় জানান, আর ব্যবসার দিকে পুরো নজর দেন।
দুর্ঘটনার পরের বছর, ১৯৩৭ সালে সোইচিরো হোন্ডা ‘টোকাই শেইকি’ নামের এক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন, যারা সেইসময় টয়োটার জন্য পিস্টন রিং বানানোর কাজ করতো। কিন্তু প্রথমদিকে সোইচিরো হোন্ডার বানানো পিস্টন রিং টয়োটা রিজেক্ট করে দেয় যা তার কোম্পানি টোকাই শেইকির ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। তবে সোইচিরো হোন্ডার কোম্পানি টয়োটার জন্য নয়, ধ্বংস হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে। ১৯৪৪ সালে এক যুদ্ধবিমানের বোমাহামলায় ধ্বংস হয়ে যায় সোইচিরো হোন্ডার (Honda Sōichirō) ইয়ামাশিতা অঞ্চলের প্ল্যান্ট। আর ঠিক এক বছর পরেই এক শক্তিশালী ভুমিকম্পের আঘাতে সোইচিরো হোন্ডা তার ইওয়াতা প্ল্যান্টটিও হারান। উপায় না দেখে, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র তিনি বিক্রি করে দেন টয়োটার কাছেই। মাত্র ৪ লাখ ইয়েনের বিনিময়ে সোইচিরো আক্ষরিক অর্থেই বিক্রি করে দেন তার টোকাই শেইকির ধ্বংসস্তূপ।
একদিকে নিজের কোম্পানি হারানো, অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপানের অসহায় অবস্থার মাঝে সোইচিরো হোন্ডা হয়ে পড়েন অসহায়। দেশের এমন অবস্থা যে, নিজের গাড়ি চালানোর জন্য তেল পর্যন্ত তখন জাপানে ছিলো না। এমন সময়েই ইউরোপের কিছু মোটর লাগানো বাইসাইকেল জাপানে স্বল্পখরচে যাতায়াত করার যান হিসেবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। আর এইসময়েই সোইচিরো হোন্ডা একটি মোটরের সন্ধান পান, যেটি জাপানিজ আর্মি তাদের রেডিও চালানোর কাজে ব্যবহার করতো। এই দুই জিনিসকে এক করে, একইধরণের মোটর দিয়ে জাপানের ভিতরেই মোটরাইজড সাইকেল বানানোর পরিকল্পনা করেন সিইচিরো হোন্ডা। সেই চিন্তা থেকে, ১৯৪৬ সালে সিইচিরো হোন্ডা তার সেই ৪ লাখ ইয়েন দিয়ে শুরু করেন হোন্ডা টেকনিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট (Honda Technical Research Institute)।
হোন্ডার উত্থান
১৯৪৭ সালের দিকে হোন্ডা টেকনিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর বানানো মোটরসাইকেলের ব্যবসা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ততদিনে পুরোনো ইঞ্জিন এবং মোটর ব্যবহারে স্বল্পতাও দেখা দেয়, যার সমাধানে সিইচিরো হোন্ডা কোম্পানির প্রথম ইঞ্জিন তৈরি করেন। সেই ইঞ্জিন এর গায়েই প্রথম হোন্ডার নাম লেখা হয়, আর সেই ইঞ্জিন লাগানো মোটরসাইকেল বাজারে আনা হয় সেইবছরেই। ১৯৪৮ সালে মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে, সিইচিরো হোন্ডা তার হোন্ডা মোটর কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন। তিনি সারাদেশের প্রায় ৩ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রেতার কাছ থেকে লোন নিয়ে প্রথম জাপানিজ মোটরসাইকেল তৈরি করেন, যা বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়।
সিইচিরো মার্কেট রিসার্চ করে জানতে পারেন, হোন্ডার প্রথম তৈরি করা ডি টাইপ মোটরসাইকেলটি আকারে বড় আর ওজনে ভারী হওয়ায়, অনেকেই এই বাইক কিনতে চায় না। তাই সোইচিরো হোন্ডা প্রায় ৩ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ডি টাইপের চেয়ে আকারে ছোট এবং হালকা মোটরসাইকেল তৈরি করেন, আর সেটিকে ‘সুপার কাব (Honda Super Cub)’ নামে বাজারে আনেন। এই মোটরসাইকেলটি রাতারাতি জনপ্রিয়তা পায়, এবং জাপানের সেরা মোটরসাইকেল হিসেবে পুরষ্কৃত হয়।
১৯৫৮ সালে হোন্ডার এই মোটরসাইকেল আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করে। স্বল্পমূল্য এবং টেকসই গঠনের জন্য, হোন্ডার মোটরসাইকেল দ্রুতই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বাজারেও নাম কামাতে শুরু করে। অন্যদিকে রেসিং এর দুনিয়াতেও হোন্ডা কোম্পানির মোটরসাইকেল বিজয়ের দেখা পেতে শুরু করলে, ধীরে ধীরে হোন্ডার নাম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যেতে থাকে। যেই কোম্পানি এক দশক আগেও রিসাইকেল করা মোটর দিয়ে সাইকেল চালানোর কাজ করতো, সেই হোন্ডা রাতারাতি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল কোম্পানিতে পরিণত হয়!
তবে সোইচিরো হোন্ডা এখানেই থেমে থাকতে চাননি। তিনি ছোটবেলায় যেই জিনিসের ভালোবাসার মায়ায় জড়িয়েছিলেন, যার জন্য আজ তিনি অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন, সেই গাড়ির বাজারে প্রবেশ করার কথা ভাবেন তিনি। সেইসময় বিশ্ববাজারে ফোর্ড, জেনারেল মোটরসের মতো কোম্পানির একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো। অনেকেই সোইচিরো হোন্ডাকে এই বাজারে প্রবেশ করতে নিষেধ করলেও, সোইচিরো তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
৭০ এর দশকে আমেরিকাতে জ্বালানী তেলের সংকট দেখা দিলে, অল্প তেলে অধিক যাত্রা করার মতো গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এইরকম পরিস্থিতির সাথে আমেরিকান কোম্পানিগুলো পরিচিত না থাকলেও, হোন্ডার সেইসময় এমন পরিস্থিতিতেই ব্যবসা চালানোর পূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিলো। হোন্ডা তখন কম তেলে অধিক মাইলেজ সম্পন্ন গাড়ির দুনিয়ায় প্রবেশ করে, এবং বাজারে নিয়ে আসে হোন্ডার ইতিহাসের সবচেয়ে সফল গাড়ি ‘হোন্ডা সিভিক (Honda Civic)’। গাড়িটি শুধু আমেরিকাতেই নয়, বরং ইউরোপেও তুখোড় জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর সাথেসাথে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিয়ে নিতে সক্ষম হয় হোন্ডা।
হোন্ডার বর্তমান
সময়ের দীর্ঘ বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আজ হোন্ডা শুধুমাত্র জাপানের নয়, বরং পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তর অটোমোবাইল কোম্পানি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অটোমোবাইল কোম্পানির তালিকাতে আজ হোন্ডার অবস্থান ৮ম, আর জাপানের মধ্যে ২য়। তবে মোটরসাইকেলের দুনিয়াতে হোন্ডার আগে পৃথিবীতে আর কেউ নেই। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার প্রায় ১৫০ টি দেশে হোন্ডার মোটরসাইকেল এবং গাড়ি রপ্তানি হয়। ২০২৩ সালের হিসেবমতে, বর্তমানে হোন্ডা মোটর কোম্পানির নেটমূল্য প্রায় ৫২ বিলিয়ন ডলার কিংবা ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
হোন্ডার ও কলঙ্ক আছে?
এটা সত্যি যে হোন্ডার জন্ম একজন স্বপ্নবাজের হাত ধরে। এটিও সত্যি যে হোন্ডার অর্জন নিয়ে জাপান গর্ব করতে পারে। কিন্তু আলোর নিচেই যেমন আধার থাকে, তেমনি এমন হাজারও গর্বময় ঘটনার পিছনে লুকিয়ে আছে হোন্ডার কিছু কলঙ্কময় ইতিহাসও।
৭০ এর দশক থেকে শুরু হওয়া হোন্ডার অসামান্য সফলতার সাথেসাথে কোম্পানির নামের পাশে যোগ হতে থাকে একের পর এক কালো অধ্যায়। ১৯৯৮ সালে হোন্ডা মোটর কোম্পানি তাদের গাড়িতে ত্রুটিপূর্ণ স্পার্ক প্লাগ ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হয়। সেইসময় পরিবেশবান্ধব গাড়ির ভাষণ দিয়েও এমন গাড়ি বাজারে ছাড়ায় সমালোচনার তীর বেশ ভালোই ভোগায় হোন্ডাকে। সমালোচনা থেকে বাঁচতে, সেইবছর প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ প্রদান করতে হয় কোম্পানিটিকে।
বর্ণবাদী আচরণের জন্যও সমালোচিত হতে হয়েছিলো হোন্ডাকে। জানা যায়, হোন্ডা তাদের কোম্পানিতে নারী এবং কৃষ্ণাঙ্গদের চাকরি প্রদান করা থেকে সর্বদাই নিজেদের গুটিয়ে রাখতো। ১৯৮৮ সালে প্রায় ৩৭০ জন নারী এবং কৃষ্ণাঙ্গ আদালতে হোন্ডার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে, এবং আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণও হয়। সেইসময়ও হোন্ডা ৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ দিয়ে নিজেদের বাঁচিয়ে নেয়।
তবে এখান থেকেও যে হোন্ডা শিক্ষা গ্রহন করেনি, তার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৪ সালে। তথ্যমতে, আমেরিকার শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থগ্রহন করতো হোন্ডা কোম্পানি। এই চর্চার সাথে বেশকিছু ব্যাংক জড়িত ছিলো বলে, শুধুমাত্র হোন্ডার উপর দিয়ে সেইসময় সমালোচনার ঝড়টা যায়নি।
হোন্ডা মোটর কোম্পানি এমন এক পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে যে, শুধুমাত্র টাকার ক্ষমতা দেখিয়েই অনেক বড় বড় স্ক্যান্ডাল থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি। আর এই ক্ষতিপুরণ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চর্চা যে আজও বদলায়নি, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে হোন্ডার টাকাদা এয়ারব্যাগ স্ক্যান্ডাল।
২০২০ সালে হোন্ডার বেশকিছু গাড়িতে ডিফেক্টিভ এয়ারব্যাগের সন্ধান পাওয়া যায়। এয়ারব্যাগ সাধারণত দুর্ঘটনায় যাত্রীদের মারাত্মক আঘাত থেকে বাঁচাতে ব্যবহার করা হয়। হোন্ডা তাদের গাড়িতে এই এয়ারব্যাগের জন্য এমোনিয়াম নাইট্রেড নামের এক পদার্থের ব্যবহার করে, যা ছোট বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এয়ারব্যাগ গাড়ির ভিতর লঞ্চ করার জন্য রাখা হয়। কিন্তু এমোনিয়াম নাইট্রেড গরমে বিপজ্জনক অবস্থায় পৌছে যায়, যার ফলে দুর্ঘটনা ছাড়াই এয়ারব্যাগ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটতে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে। এর ফলে প্রায় ২৫ জন ব্যক্তির প্রাণও হারাতে হয়। এই ঘটনার পর হোন্ডা প্রায় দেড় কোটি গাড়ি তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফেরত নেয়, এবং ৮৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ প্রদান করতেও রাজি হয়।
এমন অনেক ঘটনাই হয়তো রয়েছে, যা টাকা এবং ক্ষমতার জোরে চিরতরে চাপা দিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে হোন্ডা। এরচেয়েও ভয়াবহ সব ঘটনার স্বাক্ষী হয়তো জাপানিজ এই কোম্পানিটি, যার খবর আমরা জানতে পারবো ভবিষ্যতে কোনও মাধ্যমে! তবে যতটুকুই জানতে পারা যায়, তাতে হোন্ডা মোটরকে কেন অটোমোবাইলের সবচেয়ে আগ্রাসী কোম্পানি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে, তার একটি উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।
আপনার দৈনন্দিন জীবনে হোন্ডার কোন পন্যটি আপনার ব্যাবহার করা হয় ? কমেন্ট বক্স এ জানাতে ভুলবেন না কিন্তু? ভিডিও টি ভাল লাগলে শেয়ার করুন আর সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন বিজনেস মেনিয়া ‘র । শুভ কামনা ।