বন্ধুদের দ্বন্দ্বে বিপাকে লক্ষ কোটি টাকার ইউনাইটেড গ্রুপ | United Group | Business Mania
ভেবে দেখুন, এমন এক Conglomerate group যার প্রভাব বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, শিক্ষা থেকে রিয়েল এস্টেট (Real Estate) পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে।
হ্যাঁ বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য, ইউনাইটেড গ্রুপের কথাই বলছি ।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এত বড় একটি সাম্রাজ্য যেখানে সব কিছুই সফলতার সাথে চলছে, সেখানে কি আসলেই সব কিছু শান্ত?
সাম্প্রতিক কালে ইউনাইটেড গ্ৰুপের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে চলছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ।
কেউ কি নেতৃত্বের দাবিদার ?
নাকি কেউ কর্তৃত্ব চায় আরও বেশি?
এই টানাপোড়েন ইউনাইটেড গ্রুপের ভিতকে নাড়িয়ে দিচ্ছে না তো ?
Business Maniar আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা ইউনাইটেড গ্রুপের সেই গল্পই তুলে ধরব ।
পাশাপাশি থাকবে ইউনাইটেড গ্ৰুপের প্রথম দিকের সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিশাল বড় বড় প্রকল্প, এর উত্থান ও সফলতাসহ সবকিছু।
ইউনাইটেড গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে, যখন হাসান মাহমুদ রাজা ও তার চার বন্ধু মিলে একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগের স্বপ্ন দেখেন। তাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
শুরুর দিনগুলোতে ইউনাইটেড গ্রুপের পথ সহজ ছিল না। অনেক প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মাঝে তাদের কাজ করতে হয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠা এবং প্রসার ঘটানোর সময় বিনিয়োগের অভাব, বাজারে পরিচিতি এবং প্রতিযোগিতার সাথে টিকে থাকার মতো চ্যালেঞ্জগুলো ছিল বড় বাধা।
তারা বিভিন্ন খাতে ছোট ছোট অংশে ব্যবসা শুরু করলেও, প্রতিটি খাতেই ধীরে ধীরে দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের সেবা ও মানের জন্য খ্যাতি অর্জন করে। প্রতিটি নতুন উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে, তারা ব্যবসার প্রসার ঘটাতে থাকে।
ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রবেশ করে প্রভাব বিস্তার করা। শুধু লাভের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ শুরু করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, রিয়েল এস্টেট (Real Estate), এমনকি শিপিং (Shipping) এবং লজিস্টিক্সসহ বহু খাতে তাদের বিনিয়োগ ছিল ।
এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইউনাইটেড গ্রুপ ধীরে ধীরে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয় এবং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে কার্যক্রম শুরু করে। আজকের দিনে তাদের ৪০টিরও বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা দেশের প্রায় প্রতিটি মূল খাতে ছড়িয়ে রয়েছে। তদুপরি, স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে অবদান রেখে তারা তাদের প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য যে সাহস ও উদ্যমের প্রয়োজন, হাসান মাহমুদ রাজা এবং তার সহযোগীদের সেই দৃঢ় সংকল্প এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আজকের এই বিশাল ইউনাইটেড গ্রুপের রূপদানের পথে সহায়ক হয়েছে।
বর্তমানে ইউনাইটেড গ্ৰুপ (United Group) ১০,০০০ এর ও বেশী কর্মচারী নিয়ে ৩৭টিরও বেশি প্রকল্প পরিচালনা করছে ।
তাদের উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প এর উৎপাদন ক্ষমতা ২,১৩৭ মেগাওয়াট, যা বাংলাদেশের শিল্প খাতে এক উল্লেখযোগ্য অবদান।
প্রথমদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে প্রবেশ করার মাধ্যমে ইউনাইটেড গ্রুপ দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, রিয়েল এস্টেট (Real Estate), শিপিং (Shipping) এবং ম্যানুফ্যাকচারিং (Manufacturing) সহ নানা খাতে বিস্তৃত হয়ে তারা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রেখেছে। বর্তমানে ১ কোটি ৭০ লাখ বর্গফুট জায়গায় তাদের নির্মাণ প্রকল্প চালাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
তাদের এই বিনিয়োগ শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, বরং দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে। ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতগুলিতে প্রবেশের মাধ্যমে, তারা জনগণের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
ইউনাইটেড গ্রুপের বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প ও ব্র্যান্ড রয়েছে যা তাদের উন্নতির গল্পের অংশ। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো “সেন্টারপয়েন্ট (Centerpoint),” যা মূলত আধুনিক কর্পোরেট অবকাঠামোর উদাহরণ । এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনাইটেড গ্রুপ (United Group) দেশের কর্পোরেট জগতকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করে চলেছে।
এছাড়া ইউনিমার্ট (Unimart) এবং চেফ’স (Chef’s) টেবিলের মতো রিটেইল (Retail) ও ফুড সার্ভিস ব্র্যান্ড (Food Service Brand) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইউনাইটেড গ্রুপ দেশের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে চলেছে। ইউনিমার্ট (Unimart) একটি আধুনিক হাইপারশপ (Hypershop) হিসেবে খাদ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে, যেখানে চেফ’স টেবিল (Chef’s Table) বিশ্বের বিভিন্ন রন্ধনশৈলী উপস্থাপন করে দেশের খাদ্যপ্রেমীদের নতুন স্বাদ ও অভিজ্ঞতা দেয়।
ইউনাইটেড গ্রুপ (United Group) শুধুমাত্র বাণিজ্যিক অর্জনে থেমে থাকেনি; তারা সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়েও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তাদের আয়ের একটি অংশ শিক্ষাবৃত্তি, বিনামূল্যে খাদ্য এবং আবাসন সুবিধা, এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানে ব্যয় হয়। এছাড়া পরিবেশের উপর প্রভাব কমানোর লক্ষ্যেও তারা নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এভাবে বিভিন্ন খাতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলে ইউনাইটেড গ্রুপ (United Group) দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে অবদান রাখছে এবং প্রতিটি খাতে একটি স্থায়ী ছাপ রেখে চলেছে।
এ ছাড়া ইউনাইটেড প্রোপার্টি সলিউশনস (United Property Solutions), নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (Neptune Land Development), এবং আইপিসিও ডেভেলপমেন্টের (IPCO Development) অধীনে আরও কিছু উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবায় তাদের “ইউনাইটেড হাসপাতাল” অন্যতম একটি নাম, যা উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। শিক্ষা খাতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (United International University) এবং ইউনাইটেড নার্সিং কলেজের (United Nursing College) মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করছে।
এ সব কিছুর প্রেক্ষাপটে বলা যায়, জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে ইউনাইটেড গ্রুপ (United Group) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে, যা দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোকে শক্তিশালী করছে।
কিন্তু বর্তমানে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড গ্রুপ (United Group) এখন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মুখোমুখি। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফারিদুর রহমান খান এবং আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেছেন যে, তাদেরকে বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের শেয়ারের লাভ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের দাবি, এই সমস্ত সিদ্ধান্ত তাদের অধিকারকে উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে এবং তারা আদালতের মাধ্যমে গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং অন্যান্য সুবিধাগুলোর ওপর তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া।
এছাড়াও, ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম (Export Processing Zone)-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
যেখানে তাদের গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে সরকারি দামে, কিন্তু তারা সেই বিদ্যুৎ বেচে যাচ্ছে বাণিজ্যিক দামে, যা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, BPDB (Bangladesh Power Development Board)-কে বার্ষিক ৮০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে ফেলছে।
BPDB (Bangladesh Power Development Board) কর্মকর্তাদের দাবি, এটি একটি অনৈতিক কাজ এবং বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য এতে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। এছাড়াও, এই চুক্তি Bangladesh Export Processing Zones Authority (বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ)-এর সাথে হয়েছে, যেখানে কোনও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, যা সরকারী নিয়মাবলীর সরাসরি লঙ্ঘন।
এই দ্বন্দ্ব ও বিতর্কের কারণে ইউনাইটেড গ্রুপের স্থিতিশীলতা এখন বড় এক সংকটের মুখে পড়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং অন্যান্য আইনি জটিলতা গ্রুপের ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একই সঙ্গে, গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক অবস্থা শঙ্কার মধ্যে ফেলছে, বিশেষ করে যখন তারা সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে।
তাহলে ভেতরের এই লড়াই কি ইউনাইটেড গ্রুপের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেবে?
ইউনাইটেড গ্রুপের বিশাল ব্যবসায়িক পরিসর এবং শক্তিশালী বাজার উপস্থিতি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপের মুখে ফেলছে। তাদের প্রভাবিত মূল্যনীতি এবং বিস্তৃত খাতগুলির আধিপত্য ছোট ব্যবসায়ী বা স্টার্টআপদের (Startups) জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন করে তোলে। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিদ্যুৎ খাতে ইউনাইটেড গ্রুপের কৌশলগত ভূমিকা অনেকাংশে সরকারের উপর নির্ভরশীলতার সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের একচেটিয়া প্রভাব প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
এই আধিপত্যের ফলে কিছু ক্ষেত্রে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের উদ্বেগ বাড়ছে। যেমন, ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণ পদ্ধতির ওপর একক প্রভাব, যা বাজারের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর ফলে, ভোক্তাদের উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ বা স্বাস্থ্যসেবা সেবা নিতে হতে পারে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে ইউনাইটেড গ্রুপ (United Group) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম এবং শক্তিশালী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এর রাজস্ব এবং বাজার শেয়ার বিপুল পরিমাণ, বিশেষত বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা, রিয়েল এস্টেট (Real Estate), এবং খুচরা খাতে। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন (United Power Generation) এবং ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি(Distribution Company), ইউনাইটেড হাসপাতাল (United Hospital), ইউনিমার্ট (Unimart) এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে তাদের ব্যবসা সারা দেশে বিস্তৃত, এবং এদের শেয়ার মার্কেটেও শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।
ভবিষ্যতে, ইউনাইটেড গ্রুপ আরও বিস্তার লাভ এর পরিকল্পনা করবে। রিয়েল এস্টেটের আরো বড় বড় প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন প্ল্যান্ট স্থাপন, এবং স্বাস্থ্যসেবায় আরো আধুনিক হাসপাতাল ও ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিতে পারে । এছাড়াও, তারা অন্যান্য খাতে যেমন শিপিং (Shipping), লজিস্টিকস এবং পরিবহনেও প্রবেশ করার পরিকল্পনা করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
তবে, ইউনাইটেড গ্রুপকে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। প্রথমত, নিয়ন্ত্রক চাপ, বিশেষ করে পরিবেশগত এবং ট্যাক্স নীতিতে পরিবর্তন, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। দ্বিতীয়ত, জনমতের বিরোধিতা এবং প্রতিযোগিতামূলক চাপ তাদের ব্যবসার গতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়া, একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার এবং মূল্য নির্ধারণে বিতর্কিত নীতির কারণে, গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনগত এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ বাড়তে পারে।
তাদের আধিপত্য বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেললেও, তাদের শেয়ারহোল্ডার দ্বন্দ্ব এবং একচেটিয়া প্রবণতা যেমন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে, তেমনই তাদের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ ও নতুন উদ্যোগগুলো অর্থনীতির উন্নতি কিংবা একই সাথে ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে।
ইউনাইটেড গ্রুপের মতো বড় কোম্পানির প্রভাব বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে কেমন প্রভাবিত করতে পারে? আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না!