নিরমা গ্রুপ এর উত্থান পতন – The Success Story of Nirma Washing Powder
এক সময়ের সাড়া জাগানো ব্র্যান্ড-ওয়াশিং পাওডার নিরমা(Nirma), তার ডিজারজেন্ট ও সৌন্দর্য্য সাবানের হৃদয় ছোঁয়া সব বিজ্ঞাপনে কেড়ে নিয়েছিল অসংখ্য মানুষের মন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে নিরমা(Nirma) ব্র্যান্ড তার ওয়াশিং পাওডার তৈরী একদিন হঠাৎ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কেন?
খুব অল্প সময়ে পরিচিত ও সফল হওয়া নিরমা ব্রান্ডের গল্পটি এক কেমিস্ট বাবার এক্সপেরিমেন্ট, ভালোবাসা ও জীবন পাল্টে দেওয়া এক দূর্ঘটনাকে নিয়ে। অদম্য এক আবেগে সরকারী এক কর্মচারী সার্ফ এক্সেলের(Surf Excel) মতো তূখোড় প্রতিযোগীকে খুব কম সময়ে পেছনে ফেলে নির্মান করে এক কাল জয়ী ব্র্যান্ড- নিরমা। কিন্তু কিভাবে? আর কিভাবেই বা নিরমা এখন পর্যন্ত পালটে দিচ্ছে লাখ লাখ মানুষের জীবন?
এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে ব্লগটি পড়তে থাকুন শেষ পর্যন্ত ।
একজন কেমিস্ট বাবা
বাবার আদরের ছোট্ট মেয়ে নিরুপমা (Nirupama)। আদর করে ডাকেন নিরমা। বাবা কারশানভাই পাটেল (Karsanbhai Patel) সরকারী চাকরীজীবি, সাথে কেমিস্ট্রির গ্র্যাজুয়েট। বাড়ির পেছনের ছোট্ট উঠোনে চলতে থাকে তার নানা রকমের কেমিস্ট্রির এক্সপেরিমেন্ট। এক্সপেরিমেন্টের বিষয়বস্তু ডিটারজেন্ট। বাজারে চলতি ডিজারজেন্ট কাপড়কে সহজে পরিষ্কার করলেও পরিবেশের জন্য তা মোটেও নিরাপদ নয়। সাথে দামটাও বেশ চড়া। আর তাই সোডার গুড়োর সাথে নানা উপাদান মিশিয়ে একদিন তৈরী করে ফেলেন ফসফেটমুক্ত একটি হলুদ রঙের ডিটার্জেন্ট পাউডার। মেয়েকে আদর করে তিনি যে নামে ডাকেন সেই নামেই ডিটার্জেন্টটির নাম রাখেন নিরমা। অফিসের ১৫ কিলোমিটার পথ সাইকেলে যাওয়া আসা। সাথে করে ১৫ -২০ প্যাকেট নির্মার প্যাকেট নিজেই ঘরে ঘরে পৌছে দেন। গুজরাটের রুপপুর গ্রামের কৃষক-পিতার ছেলে কারশানভাই পাটেলের নিরমা আহমেদাবাদে ভালোই বিক্রি হচ্ছিল। বাজারের সাড়ে ১৩ টাকার দামী ডিটারজেন্ট কেনার সামর্থ্য সবার না থাকলেও, সাড়ে ৩ টাকার নিরমা কিনতে আর কারোরই কোন বাধা রইলো না। কিন্তু হঠাৎ করে নেমে এল এক কালো অন্ধকার।
হঠাৎ এক দূর্ঘটনা
প্রচন্ড বেগে ছুটে আসা এক গাড়ীর ধাক্কায় মুহুর্তেই হারিয়ে গেল না ফেরার দেশে, কারশানভাই পাটেলের (Karsanbhai Patel) চোখের মনি- মেয়ে নিরুপমা। কষ্ট বুঝি কারশানভাইকে আরো দৃঢ় করে তোলে। মেয়ের নামকে তিনি ভারতীয়দের হৃদয়ে স্বরনীয় করে রাখতে চান। কিন্তু অফিসে সময় দিয়ে ব্যবসা সামলানো কারশানভাইয়ের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। তাই সাহস করে তিনি চাকরী ছেড়ে দিয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে নিরমা ডিটারজেন্ট পাউডারের ব্যবসা আরও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু করলেন।
তারপর?
৪০০ জন বিক্রয় কর্মী নিয়ে কারশানভাই পাটেল মাঠে নামেন। শহরে-গঞ্জে দোকানীদের ধারে নিরমা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। রেডিও -তে বাজতে থাকে নির্মার বিজ্ঞাপন। নির্মার সুনাম ছড়িয়ে যেতে থাকে। দোকানীরা এই সুযোগটা কাজে লাগালো ঠিকই কিন্তু মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও টাকাটা বুঝিয়ে দিতে তারা গড়িমসি করে। এভাবে চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন বটে। আর তাই তিনি একদিনে বাজার থেকে সমস্ত নিরমা
উঠিয়ে নেন। পরের দিন পুরো বাজারে আর কোথাও নির্মা দেখা যায় না।
তারপর আসে এক যুগান্তরী টিভি বিজ্ঞাপন
টিভিতে নির্মার একটি বিজ্ঞাপন দেখা যায়। বিজ্ঞাপনটি যেন গানে গানে গৃহিনীদের মনে এক সুখী জীবনের আমেজ তৈরী করলো। একঘেয়ে কাপড় ধোয়াও যে নির্মার সাথে একটি আনন্দের কাজ হতে পারে সেটা বুঝি নিরমা
জানান দিয়ে গেল। দুধের চেয়ে শুভ্র ও ঝলমলে কাপড়, হাস্যোজ্জল বাচ্চারা ও কর্মদীপ্ত গৃহিনীদের তুলে ধরা এই বিজ্ঞাপন চিত্র ভারতীয় গৃহিনীদের হৃদয়ে ঝড় তোলে। পরের দিন বাজারে নির্মার খোজ পড়ে যায়। গৃহিনীরা নির্মার খোজ করে। কিন্তু পুরো বাজারেই তো কোন নির্মা নেই। এবার দোকানীরা নির্মার অভাব হাড়ে হাড়ে টের পায়।
মূদ্রার দিক বদল
নিরমা পেতে দোকানীদের এবার কারশানভাইয়ের কাছে দ্বারস্থ হতে হয়। কারশানভাই নিরমা সরবরাহে রাজি হয় ঠিকই। তবে জুড়ে দেয় দু’টো শর্ত। শর্ত ১, বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। শর্ত ২, ধার নয়, এখন থেকে মূল্যটা পরিশোধ করে তবেই নিরমা নেওয়া যাবে তার থেকে।
উপায়ন্তর না পেয়ে দোকানীরা দু’টি শর্তই মেনে নিতে বাধ্য হয়।
গৃহিনীদের প্রিয় ডিটার্জেন্ট
৯০ দশকে প্রত্যেক গৃহিণীর পছন্দের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠে নির্মা ডিটার্জেন্ট পাউডার। “ওয়াশিং পাউডার নির্মা……..ওয়াশিং পাউডার নিরমা। দুধ সি সাফেদি নির্মা সে আয়ি।” এই বিজ্ঞাপনটি সবার মুখে মুখে। কারশানভাই প্যাটেল চেয়েছিলেন তার মেয়ে নিরুপমার নাম ও ছবি সকলের মনের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে। আর তাই নির্মা ব্র্যান্ডে আগমন ঘটে নির্মা গার্লের।
নিরমা গার্ল
যেহেতু কারশানভাই নিজের মেয়ের নামে ব্যবসা চালাচ্ছেন তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ডিটারজেন্ট পাউডারের প্যাকেটের উপর মেয়ের ছবি থাকতে হবে। “বম্বে অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানি’-তে কাজ করা এক বাঙালির চিত্রশিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় ডিটারজেন্ট পাউডারের প্যাকেটে ফুটে ওঠে নিরমা গার্লের ছবি। নিরমা গার্ল এর ছবি আঁকা বাঙালি ইলাস্ট্রেটরের নাম ধীরেন্দ্রনাথ শূর। “নিরমা গার্লের” ছবিটি ছাপানো হয় সকল পণ্যের উপর। বছরের পর বছর কেটে যায় কিন্তুু নিরমা গার্লের কোনো পরিবর্তন হয়না। এভাবেই কারশানভাই সকলের মনে তার মৃত মেয়েকে অমর করে রাখতে চেয়েছিলেন।
সাফল্যের তুঙ্গে
আস্তে আস্তে নিরমা মার্কেট শেয়ারের ৬০ ভাগ দখল করে ফেলে। কম দাম, হাতকে রুক্ষ না করে পরিষ্কারের অনন্য গূন আর প্রানবন্ত বিজ্ঞাপনের জন্য নির্মা ডিটার্জেন্ট পাউডার সাফল্যের তুঙ্গে পৌছে যায়। বছরে ১.৭ লক্ষ টনেরও বেশি বিক্রি হওয়া শুরু করে। ১৯৮০ এর দশকে নির্মার পারফরম্যান্স একটি যুগের মার্কেটিং মিরাকল হিসাবে পরিচিত।
নিরমা জনপ্রিয় হওয়ার আগে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড (Hindustan Unilever Ltd.) এর “সার্ফ” যা বর্তমানে “সার্ফ এক্সেল”(Surf Excel) তা পুরো মার্কেট দখল করে রেখেছিল। কিন্তু নির্মার জনপ্রিয়তা বাড়ার পর থেকেই সার্ফ এক্সেল আর মার্কেট শেয়ার নিজের দখলে রাখতে পারেনি। সার্ফ এক্সেলের দাম বেশী থাকায় সবাই শুধুমাত্র ডিটারজেন্টের পিছনে এতো টাকা খরচ করতে চায় নি আর সেই সময়েই নিরমা স্বল্প মূল্যে ডিটারজেন্ট পাউডার নিয়ে আসে। যা সার্ফ এক্সেলের কাল হয়ে ওঠে। সার্ফ এক্সেলকে পেছনে রেখে নিরমা এগিয়ে যায়।
সার্ফ এক্সেলের জবাব
তবে বসে থাকে নি সার্ফ এক্সেলও। নির্মার বিজ্ঞাপনের জবাব দিতে এবার সে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল “উড়ান”-এর গৃহিনী ললিতা চরিত্রকে বেছে নেয় যিনি মিতব্যয়ী হলেও সার্ফ এক্সেলের মত দামী পণ্য কিনতে দেখা যায় তাকে। এর উত্তরে নিরমা বেছে নিল রামায়নের সিতা চরিত্রের অভিনেত্রী দিপিকা চিখালিয়াকে(Dipika Chikhlia)। জবাবের দারুন প্রতি উত্তর! নিরমা তার পরিসর আরো বাড়াতে থাকে।
আরো পন্যের সমাহার
গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে প্রসাধনী, বিউটি সোপ, সুগন্ধি সাবানসহ, লবন, ক্লিন ডিশ ওয়াশ বার এবং বারতান বার নিয়ে আসে যা ভারতের বাজারে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে। পরবর্তিতে নির্মা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখে।
শিক্ষা, গবেষনা ও সামাজিক সেবাট
কারশানভাই পাটেল শিক্ষার প্রতি অনেক আগ্রহী ছিলেন। তার নেতৃত্বে ফার্মেসি কলেজ, নির্মা ইনস্টিটিউট অফ ফার্মেসি (Institute of Pharmacy, Nirma University) এবং একটি ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে। এছাড়াও তিনি নির্মা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং নির্মা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন যা ভারতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মন্দির এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। ১৯৯৪ সালে নিরমা শিক্ষা ও গবেষণা ফাউন্ডেশন NERF প্রতিষ্ঠা করে। এই ফাউন্ডেশনটি পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়।
বিদ্যাবিহার নির্মার একটি সাম্প্রতিক উদ্যোগ যেখানে কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়। কিন্তু বড় ব্র্যান্ডও মাঝে মাঝে বেশ বড় কিছু ভুল করে ফেলে।
কিন্তু কি ভুল!!
১৯৮৮ সালে নির্মার শেয়ার বাজারে ৬০% অংশ জুড়ে ছিল যা ২০১৫ সালের মধ্যে ১২% এ নেমে আসে তারপর ঘড়ি ব্র্যান্ড আসার ফলে ২০১৯ সালে ৬% এরও কমে নেমে আসে। কিন্তু কেন?
১৯৯০ এর শেষের দিকে ইন্ডিয়ার অর্থনীতি সমৃদ্ধির দিকে এগোতে থাকে। মধ্যবিত্তরা সবে উচ্চ মধ্যবিত্ত জীবনে পা রাখছে। বাজারে একের পর এক নতুন ব্র্যান্ড আসতে থাকে। অভিনব পন্যে ভরপুর হয়ে যায় বাজার। কম দামী নিরমা থেকে তারা একটু বেশী দামী নতুন পন্যের দিকে ঝুঁকতে থাকে। এই কম দাম-টাই নির্মার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ধ্বশ নামে তাদের মার্কেট শেয়ারে।
২০১০ সালে নিরমা স্টক মার্কেট থেকে নিজেকে ডি-লিস্ট করে নেয় কোন রকম ওপেন স্টেটমেন্ট দেওয়া ছাড়াই। এরপর এটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে(Private Limited Company) পরিণত হয়।
নিরমা বরাবরই চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে নারী সমাজে একটি শক্তিশালি আবেদন তৈরী করে এসেছে।
সে হোক থামিয়ে দেওয়া কাদা পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে কিংবা কাদাকে ভয় না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স টেনে নিয়ে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে।
কিন্তু ২০১৭ সালে নিরমা পাউডার(Nirma Powder) ,নিরমা এডভান্সে পরিনত হয় এবং বিজ্ঞাপনে তাদের মূল ভোক্তা নারীদের বদলে হৃত্তিক রোশনকে কাপড় কাঁচতে দেখা যায়।পরবর্তিকে অক্ষয়কুমারকেও একই ভূমিকায় দেখা যায়। মারাঠি সংস্কৃতিকে ব্যাঙ্গ করার অভিযোগে এবার তুমুল সমালোচনায় পড়তে হয় নির্মাকে।
তারপর নিরমা ডিটার্জেন্ট পন্যটিকেই ব্র্যান্ড থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এত কিছু সত্ত্বেও বাকী পন্যের সমাহার ব্র্যান্ডটি এখনো ৭ হাজার কোটি রুপি বার্ষিক আয় এর একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছে। বর্তমানে কারশানভাই পাটেলের দুই ছেলে রাকেশ ও হিমেশ পাটেল ব্র্যান্ডটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। একজন মানুষ থেকে শুরু করে নিরমা এখন ১৮ হাজারেরও বেশী মানুষের কর্মসংস্থানের নাম।
নিরমা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কারশানভাইকে শিল্প ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বেশ কিছু পুরস্কার এবং স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
প্রাপ্তিগুলো
ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি(Florida Atlantic University) থেকে তাকে “সম্মানসূচক ডক্টরেট” ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন অফ স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ অফ ইন্ডিয়া(FASII: Federation of Associations of Small Industries of India) তাকে “উদ্যোগ রত্ন ” পুরস্কারে ভূষিত করেন।
২০০১ সালে শিল্পক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানগুলির মধ্যে একটি পদ্মশ্রী পুরস্কার(Padma Shri Award) লাভ করেন। ২০০৯ সালে গুজরাট সরকার তাকে “উদ্যোগ ভূষণ” পুরস্কার প্রদান করেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিন(Forbes Magazine) অনুযায়ী, ২০১৯ সালে কারশানভাই পাটেল ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৩০ তম অবস্থানে ছিলেন যদিও তা ২০২৩ সালে ৭০ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমান ৩.৫ বিলিয়ন US ডলার।
তার মেয়ের নিরমা নামটি ভারতের ব্যবসা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কল্যাণময় কাজের মাঝে স্বরনীয় হয়ে রয়েছে। নির্মার তৈরী বিজ্ঞাপনগুলো আমরা আজো ভুলি নি।
FAQ :
১। নিরমা নামের বাংলায় অর্থ কি ?
নিরমা নামের বাংলা অর্থ ঝরঝরে; পরিষ্কার।
২। ‘’নিরমা গার্ল’ বা ‘’নিরমা কন্যা’’-এর এই ছবি কে এঁকেছিলেন?
নিরমা গার্ল-এর ছবি আঁকা সেই বাঙালি ইলাস্ট্রেটরের নাম ধীরেন্দ্রনাথ শূর(Dhirendranath Shur)।
৩। নিরমার বিজ্ঞাপনে এই মেয়েটা আসলে কে ?
১৯৬৯ সালে গুজরাতের ব্যবসায়ী কারশানভাই প্যাটেল ডিটারজেন্ট পাউডারের উৎপাদন শুরু করেন। কারশানভাইয়ের মেয়ের নাম নিরুপমা। ডাকনাম নিরমা । মেয়ের নামেই তিনি তাঁর কারখানায় তৈরি ডিটারজেন্ট পাউডারের নাম রাখেন নিরমা ।
ব্লগটি ভাল লেগে থাকলে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকবেন।
তথ্যসূত্রঃ Nirma Website, Wikipedia, Google
Credit: YouTube Channel of Nirma India, Surf excel, Guruprasad Gp,
Thoughtshop Advertising & Film Productions Pvt. Ltd., ATM – All Type Masti