কেন গুনতে হল বিকাশ কে ৮১ কোটি টাকার লোকসান?
বিকাশ যখন তাদের প্রথম কার্যক্রম শুরু করেছিলো তখন হয়তো তারাও বুঝতে পারে নি যে, একদিন এই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটি এতোটা প্রসার লাভ করবে! তবে দিনশেষে কিন্তু তা বাস্তব হয়েছে। স্বপ্নকে সত্যি করেছে আর কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রীতিমতো বিপ্লব এনেছে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো এই বিকাশ। নগদ, ডাচ বাংলা, উপায় এর মতো ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান গুলোকে পিছনে ফেলে দিয়ে বিকাশ একাই যেনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জগতে নিজের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। রাজত্বের কথা এজন্যই বলছি যে, বর্তমানে সারা বাংলাদেশে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহক হলো ৭ কোটি। বর্তমানে সারাদেশে এর এজেন্ট রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ। অর্থাৎ সারা বাংলাদেশে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মোট নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা মিলিয়ে শুধু বিকাশের গ্রাহকের অর্ধেকও হবে না।
শুধু তাই নয়, সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন বিকাশ থেকে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটিরও বেশীবার লেনদেন করা হচ্ছে। টাকার অংকে হিসেব করলে প্রতিদিন শুধুমাত্র বিকাশ দিয়েই ২৯০ কোটি টাকা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।
কার হাত ধরে বিকাশের অগ্রযাত্রার শুরুটা হয়েছিলো?
বিকাশের বর্তমান সফলতার কথা বললে প্রথমেই যার নামটি আসে তিনি হলেন কামাল কাদির। ২০০৫ সালে তিনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেলবাজার ডট কম নামে একটা অনলাইন প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। তখন থেকেই তিনি বিকাশের পরিকল্পনার প্রথম ছঁকটা এঁকেছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সালের মাঝে কামাল কাদির তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যান। কিন্তু তখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। অর্থের সংস্থান না করে তো কোনভাবেই এই প্রজেক্টের সফলতা আসবে না। তখন তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে তার পরিকল্পনার ব্যাপারে কথা বলেন। তারা এতে বিনিয়োগ করতে রাজী হন এবং সেই সাথে ব্র্যাক ব্যাংক বিকাশের অংশীদার হয়ে যান। অন্যদিকে World Bank Group এর সদস্য হলো International finance Corporation সংক্ষেপে যাকে IFC বলে। ২০১০ সালে IFC বিকাশে ১০ মিলিয়ন ডলার Invest করেছিলো।
তারপর বিকাশের নতুন পার্টনার হিসেবে নাম লেখায় আমেরিকান মানি ইন মোশন এলএলসি কোম্পানী। ২০১৩ সালের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন বিকাশের নতুন অংশীদার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। তারপর ২০১৪ সালের মার্চে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিকাশে বিনিয়োগ করে। এভাবে একটানা ২০১৭ সাল পর্যন্ত কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের ফলে বিকাশ ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।
বলা যায়, ডিজিটাল লেনদেনের মার্কেট তখন পুরোটাই বিকাশের দখলে। আর কামাল কাদিরও যেনো আস্থা খুঁজে পান তখন।
এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিলে চীনের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান আলিবাবার অঙ্গ সংস্থা যার নাম ছিলো কনসার্ন অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়ালস, সেই প্রতিষ্ঠানটি বিকাশের শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আলীবাবার অঙ্গসংস্থা অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়ালস বিকাশের ২০% শেয়ার কিনে নিতে পারবে। তখন থেকে এই অ্যান্টি ফাইন্যান্সিয়ালসও বিকাশের পার্টনার হয়ে যায়। বিকাশের অর্থনৈতিক কাঠামো আরো শক্তিশালী হয়।
বিকাশের Market Value এর দিকে একটু নজর দেওয়া যাক।
২০১০ সালে যেই প্রতিষ্ঠানটি হওয়ারই কথা ছিলো না সেই বিকাশ ২০২১ সালে হাঁটি হাঁটি পা করে এমন একটা পর্যায়ে গিয়েছে যে, তাদের মার্কেট ভ্যালু দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে SoftBank Vision বিকাশে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার বিনিয়োগ করেছিলো শুধুমাত্র বিকাশের ১০% শেয়ার বেশী ক্রয় করার জন্য। তাছাড়া SoftBank কর্তৃপক্ষ তখন ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো যে, ভবিষ্যতে এই Bkash কতোটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ২০২১ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিকাশের তখন মার্কেট ভ্যালু ছিলো প্রায় ১৭৫০ মিলিয়ন ডলার। তখন বিকাশের প্রায় ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ গ্রাহক ছিলো আর তখন বার্ষিক আয় ছিলো ১৮০০ কোটি টাকা।
আচ্ছা, বিকাশ কি সব সময় বার্ষিক পরিসংখ্যানে লাভই করেছে? কখনো কি তারা ক্ষতি বা লোকসান করে নি? হ্যা, তারা লোকসানও করেছে।
বিকাশ বাংলাদেশের মাঝে ব্র্যান্ড, জনপ্রিয় এবং সফল একটা কোম্পানী হয়েও ২০২০ সালে তাদের বার্ষিক পরিসংখ্যানে ৮১ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছিলো। তার আগের বছর ২০১৯ সালে ৬৩ কোটি টাকা লোকসান করেছিলো। বিকাশের জায়গায় হয়তো অন্য কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী থাকলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হত । বিকাশ যে কতটা বড় কোম্পানী এবং তাদের চিন্তাভাবনাও যে কতোটা গভীর, তা তাদের পরিকল্পনার কাঠামোগত বাস্তবায়ন দেখলেই বোঝা যায়। ২০২০ সালের এই ৮১ কোটি টাকার লোকসানে বিকাশ কর্তৃপক্ষ মোটেও বিচলিত ছিলো না। তাছাড়া তাদের বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও এই ব্যাপারটাকে গুরুত্ত্ব দেয় নি। কারন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা জানতো যে, বাংলাদেশে বিকাশের প্রভাব কতোটুকু এবং ভবিষ্যতে এটি কেমন প্রভাব বিস্তার করবে? যার ফলে অনেক নতুন বিদেশী বিনিয়োগ কারীরাও এতে নতুন করে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো । ২০২১ সালের প্রথম থেকেই বিকাশ তাদের কার্যক্রমে অনেক পরিবর্তন আনে। এই প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সহকারী কর্মকর্তাদের নতুন পরিকল্পনা এবং তাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রমের কারনেই ২০২১ সালে বিকাশের মার্কেট ভ্যালু ১৭৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো।
কিন্তু তারপরেও তাদের সেই বছর ১২৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিলো।
এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, যে কোন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন কিছু সময় আসে যখন কোম্পানীগুলোকে নতুন কোন পণ্য,পরিষেবা এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। তাদের বিজ্ঞাপনের জন্যও খরচ করতে হয়। বিকাশ কর্তৃপক্ষ এই খাতে অনেক টাকা বাজেট রেখেছিলো এবং তারা ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিছুটা লোকসানের মাঝে পড়েছিলো। কিন্তু তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সামর্থ্য ছিলো বলেই শেষ পর্যন্ত তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিকাশ ১৭২.১ মিলিয়ন ডলাতি মুনাফা করে এবং সেই সাথে তাদের মার্কেট ভ্যালুও ২০০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সেই সাথে ১ বছরের ব্যবধানে তাদের আয় বেড়ে দাড়ায় ৩৩৪০ কোটি টাকা । এ এক অভাবনীয় সাফল্য, অন্যরকম অর্জন। এর মাধ্যমে বিকাশ অন্যান্য কর্পোরেশনকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয় যে, হ্যা, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
এই যে বিকাশের এতো অগ্রগতি, সেটা কি শুধুমাত্র ব্র্যাক ব্যাংকের বিনিয়োগেই সম্ভব হয়েছিল? তা কিন্তু নয়। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যদি বিকাশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত না হতো, তাহলে বিকাশ অগ্রযাত্রা হয়তো থেমে যেত ।
২০২৩ সালে বিকাশের Partnership এর ব্যাপারে যে পরিসংখ্যানটি আসে, সেখানে দেখা যায়, বিকাশের মাঝে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার রয়েছে সবচেয়ে বেশী অর্থাৎ ৫১%, সেখানে আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসির শেয়ার প্রায় ১৬.৪৫%, আলিপে সিঙ্গাপুর ই কমার্সের শেয়ার ১৪.৮৭ শতাংশ, SVF II BEAM এর ৭.৩২% আর ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ১০.৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
Bkash App-বিকাশের সফলতার এক নতুন সংস্করন
বিকাশের টেকনোলজী এক্সপার্ট এবং সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সহায়তায় বিকাশ কর্পোরেশন তাদের অফিসিয়াল বিকাশ অ্যাপটি ২০১৯ সালে Launch করে। যার ফলে সময়ের বিবর্তনে বিকাশের লেনদেন এখন আরো অনেক সহজতর এবং দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। তারা এমন একটি নির্ভুল অ্যাপ তৈরী করেছে যে, এই অ্যাপের মাধ্যমে কোন নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে নির্দ্বিধায় কোটি কোটি মানুষ টাকা লেনদেন করছে।
বেকারদের জন্য বিকাশ কি কোন অবদান রেখেছে ?
নি:সন্দেহে বিকাশ কোম্পানী বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। মেধাবী, পরিশ্রমী যুবক যুবতীদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বিকাশ খুব ভালো একটা Platform. বর্তমানে বিকাশের মার্কেটিং, কমার্শিয়াল, প্রোডাক্ট এ্যান্ড টেকনোলজি, ফাইন্যান্স এ্যান্ড একাউন্টস, কমিউনিকেশনস, কাস্টমার সার্ভিস, ইন্টারনাল কন্ট্রোল, এইচ আর সহ অসংখ্য বিভাগ রয়েছে। যেখানে কর্মীরা আস্থার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে তৃতীয়বারের মতো বিকাশ বাংলাদেশের নাম্বার এক Employer Of Choice হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
বিকাশের ব্যবসায়ের মাধ্যমে যে কোন বয়সের যে কোন মানুষই তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে। সামান্য কিছু মূলধন নিয়েই বিকাশের ব্যবসায় শুরু করা যায়। সততা, নিষ্ঠা আর পরিশ্রমের সাথে কাজ করে বিকাশের ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করেছেন এমন অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে।
বিকাশের সৃজনশীল মার্কেটিং পদ্ধতি কেমন?
বিকাশের মার্কেটিং পদ্ধতি অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর চেয়ে একেবারে আলাদা। তাদের বিজ্ঞাপনের Concept গুলো অনেক হৃদয়গ্রাহী হয়ে থাকে অর্থাৎ যেগুলো সহজেই কৃষক থেকে শুরু করে কর্পোরেট গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে বিকাশ ব্যবহার করতে। তাদের Logo এবং বিজ্ঞাপন গুলো একেবারে ব্যতিক্রম হওয়ার কারনে সহজেই সবার নজরে চলে আসে। Marketing এর ব্যাপারে যে তারা কতোটা Creative সেটা তাদের সব সময় সব প্রয়োজনে বিকাশ সেই বিজ্ঞাপন টি দেখলেই বোঝা যায়। এটা ছাড়াও অসংখ্য তারকাদের মডেলিংয়ে বিকাশের অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়।
২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিকাশের সামগ্রিক সফলতাগুলো সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক :
২০১১ সালে বিকাশ রবি নেটওয়ার্কের সাথে সর্বপ্রথম Launch করে। তারপর ২০১২ সালে ২ মিলিয়ন নিবন্ধনকৃত গ্রাহককে সাথে Brac Bank এর সাথে এটিএম ক্যাশ চালু করে। ২০১৩ সালে ৫০ হাজার Agent Points এর সাথে ১ কোটি নিবন্ধিত গ্রাহক , ২০১৫ সালে বিকাশ ২০ মিলিয়ন নিবন্ধনকৃত গ্রাহক অর্জনের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক এম্বিলিয়ন্থ অ্যাওয়ার্ড অর্জন, ২০১৬ সালে বৈদেশিক রেমিট্যান্সে সফলতা অর্জন, ২০১৮ সালে Best Brand Award অর্জন, ২০১৯ সালে Bkash Apps Launch, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাঝে এক নাম্বার Mobile Financial Services Brand হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন, ২০২১ সালে Number 1 Employer Of Choice in Bangladesh Award, ২০২২ সালে সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার অর্জন এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৭ কোটি নিবন্ধিত গ্রাহক অর্জন করে বিকাশ।
জনসেবামূলক কাজেও বিকাশের অনেক অবদান রয়েছে। বিকাশ অনেকদিন ধরেই দরিদ্র মানুষদের জন্য কাজ করে আসছে। দারিদ্রতা দূর করার পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূর করার ক্ষেত্রেও বিকাশ অনেক অবদান রাখছে। যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা কোন মহামারীতে এই বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যও প্রদান করা যায়। সকল দিক দিয়েই বিকাশ যেনো সাধারন মানুষদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে।
শহর এবং গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার কথা বললে, শুধু একটা শব্দই শোনা যায়, আর সেটা হলো বিকাশ। দিনশেষে এটাই বিকাশের সফলতা যে, তারা কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জন করেছে।
ব্লগটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানাবেন । সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিদিন আপডেট পেতে চাইলে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন।