BYD | যে ‘চাইনিজ’ বৈদ্যুতিক গাড়ি পেছনে ফেলেছে টেসলা কেও !
২০২৩ সালকে কি ভুলতে পারবেন ইলন মাস্ক? এ বছরই যে ইলেক্ট্রিক গাড়ী বিক্রিতে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ভাটা ফেলেন চীনের ওয়াং চুয়ানফু(Wang Chuanfu)।
ধন কুবের ইলন মাস্কের টেসলা (Tesla) ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারের একচ্ছত্র অধিপতি হলেও সম্প্রতি তাদের ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে গেছে চীনের শেনচেনভিত্তিক কোম্পানি বিওয়াইডি। গেল বছর তাদের মোট গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ মিলিয়ন!!, যেখানে টেসলা বিক্রি করেছে মোটে ১.৮ মিলিয়ন ইলেকট্রিক কার। ছোটখাটো প্রযুক্তির দিক দিয়ে চীনারা অনেক আগেই বিশ্ববাজার দখল করলেও আমেরিকার প্রতিষ্ঠানকে হটিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার এতো দ্রুত দখল করবে চাইনিজরা সেটা এক প্রকার কল্পনাতীত ছিল। তো টেসলাকে হটিয়ে বিওয়াইডির সাম্প্রতিক উত্থানের অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প থাকছে ভিডিওর বাকি অংশ জুড়ে…
১৯৯৫ সালে ওয়াং নামের এক চীনা উদ্দোক্তা বিওয়াইডি(BYD) প্রতিষ্ঠা করেন। মজার বিষয় হলো শিক্ষাজীবনে ওয়াং ছিলেন ধাতব পদার্থ বিদ্যা ও রসায়নের ছাত্র।প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীনের শেনচেনভিত্তিক এই কোম্পানিটি পরিচালনার দায়িত্বে এখনো তিনিই রয়েছেন।
৮, এপ্রিল ১৯৬৭ সালে চীনের হুবেই প্রদেশে জন্মগ্রহন করেন ওয়াং। গরীব কৃষক পরিবারের সন্তান ওয়াংয়ের শৈশব ছিল দারিদ্র্যর যাঁতাকলে পিষ্ট, স্কুল জীবনে বাবা–মাকে হারানো ওয়াং বেড়ে উঠেন তার বড় ভাই–বোনের কাছে।
নব্বইয়ের দশকে প্রকৌশলী ওয়াং বেইজিং ভিত্তিক একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাটারি তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। তবে সরকারি লোভনীয় পদের সেই চাকরিতে বেশি দিন স্থির না থেকে তার কাজিন লু জিনজিয়াং এর সহায়তায় মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বিওয়াইডি।
আজব এই নামকরণ প্রসঙ্গে ওয়াং জানান, কোম্পানিটির নাম বিওয়াইডি হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। বরং অন্য স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর থেকে নিজেদের আলাদাভাবে পরিচিত করতেই এমন ‘অদ্ভুত নাম‘ বেঁছে নিয়েছেন তিনি।
এরপর ১৯৯৭ সালের মধ্যে ওয়াং কোম্পানির ছোট কারখানাটিকে একটি মাঝারি আকারের সেলফোন ব্যাটারি তৈরির কারখানায় পরিণত করেন। সেসময় কোম্পানিটির বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার।
এর প্রায় সাত বছর পর ২০০৩ সালের দিকে বিওয়াইডি বিশ্বব্যাপী নিকেল–ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী কোম্পানিতে পরিণত হয়। তখনকার মোবাইল ফোন তৈরিতে বিশ্বের নানা প্রান্তে শুধু এই ব্যাটারীই ব্যবহার করা হতো।
শৈশব থেকে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ওয়াংয়ের স্বপ্ন ছিল আরও বড়,শুধু ব্যাটারি তৈরীতেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি । ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্ভাবনা তিনি এই শতকের গোড়ার দিকেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই ২০০৩ সালে ৩৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিকে কিনে নেন ওয়াং।
তৎকালীন সময়ে ওয়াংয়ের এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী মনে না হওয়ায় ইলেকট্রিক কার নির্মাণের বিষয়টিকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি বিওয়াইডির কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা। এতে করে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২১ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়।তবে নিজের দূরদর্শী পরিকল্পনা থেকে একচুলও সরে আসেননি ওয়াং,নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছিলেন সংকল্পবদ্ধ। যা তার বক্তব্যর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে বিশ্ববাসীর কাছে।
কারণ শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার পরেও তিনি বলেন যে, “আমি গাড়ি তৈরি করছি কারণ আমি বৈদ্যুতিক গাড়ির ভবিষ্যত উন্নয়নের বিষয়ে আশাবাদী।“
আর তারই ফলস্বরূপ বর্তমানে কোম্পানিটি চীনের শীর্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি(Electrical car) নির্মাতা। এখন তারা, বাস ট্যাক্সি ও অন্যান্য যানবাহন ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিয়মিত রপ্তানি করে থাকে। পরিসংখ্যান ঘেটে জানা যায় ইসরায়েল(Israel) ও থাইল্যান্ড(Thailand) বিওয়াইডির সবচেয়ে বড় বাজার। এই দেশ দুটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির মাধ্যমেই কোম্পানিটি শীর্ষে রয়েছে।
তবে চীনা সেই শিক্ষাবিদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহযোগী হিসেবে সামনে চলে আসেন মার্কিন বিলিয়নিয়ার ওয়ারেন বাফেট (Warren Buffett)। ২০০৩ সালে নেয়া সেই সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের ঠিক পাঁচ বছর পর , ২০০৮ সালে ওয়াং ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে ২৩০ মিলিয়ন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ পেয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ওয়াং প্রায় ১০ ভাগ শেয়ারের জন্য শেয়ার প্রতি ১ ডলার প্রদান করেছিলেন বাফেটকে ।
পরবর্তীতে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য হুহু করে বাড়তে থাকে। বাফেটের বিনিয়োগের এক বছরের মধ্যেই বিওয়াইডির শেয়ারের মূল্য বেড়ে যায় ১,৩৭০ শতাংশ ।
২০০৮ সালের শেষের দিকে বিওয়াইডি নিজেদের প্রথম প্লাগ–ইন হাইব্রিড মডেল ( PHEV) চালু করে। এতে করে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারক হিসেবে কোম্পানিটি সত্যিকারের পরিচিত পায়। এক্ষেত্রে অবশ্য চীন সরকারের পক্ষ থেকেও বেশ সহযোগিতা করা হয়েছে।
মুদ্রার অন্য পিঠে টেসলা এবং বিওয়াইডি প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলেও উভয়ের জন্ম কিন্তু বলা চলে একই বছরে। কেননা বিওয়াইডি ব্যাটারী ছেড়ে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের খবর প্রকাশ করে ২০০৩ সালে, অন্যদিকে টেসলার জন্মও সেই ২০০৩ সালের ১ জুলাই।
একটি তথ্য জানিয়ে রাখি, টেসলার আসল প্রতিষ্ঠাতা কিন্তু ইলন মাস্ক নন। এর প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন এবারহার্ড এবং মার্ক টার্পেনিং নামক দুই স্বপ্নবাজ ইঞ্জিনিয়ার, মানে ইলন মাস্ক তখনো টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ির ফ্রেমে আসেননি। তরুণ স্বপ্নবাজ সেই দুই ইঞ্জিনিয়ারের ইচ্ছা ছিল মানুষের হাতে হাতে উন্নত, দ্রুতগতির এবং গ্যাসোলিন চালিত গাড়ির চেয়েও আকর্ষণীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি পৌঁছে দেয়া।
ঠিক সে লক্ষ্যেই দুজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন টেসলা মোটরর্স। প্রতিষ্ঠার পর এবারহার্ড হন কোম্পানির সিইও এবং টার্পেনিং কাজ শুরু করেন সিএফও হিসেবে।তবে শুরুর দিকে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়েই কোম্পানি চালাচ্ছিলেন তারা।
কিন্তু গাড়ি উৎপাদনে যে প্রয়োজন বিশাল অঙ্কের অর্থ! এতো টাকা কড়ি কোথায় পাবে এদুই ইঞ্জিনিয়ার। এই পরিমাণ ডলার যে তাদের একার পক্ষে যোগান দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই এবারহার্ড এবং টার্পেনিং মিলে টেসলার জন্য হন্য হয়ে খুঁজতে শুরু করেন নতুন বিনিয়োগকারী। আর টেসলার গল্পের ঠিক এই জায়গাতেই আবির্ভাব ঘটে ইলন মাস্কের। মাস্ক তখন সদ্য বিলিয়নিয়রে পরিণত হয়েছেন। বৈশিক লেনদেন ব্যবস্থার হাতিয়ার পেপালে থাকা নিজের শেয়ার বিক্রি করে ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক বনে যান তিনি।
একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মাস্কও তখন ভাবছিলেন বিশাল এই অর্থ নতুন কোথাও বিনিয়োগের কথা।আর ঠিক তখনই টেসলার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং মাস্ক আগ্রহী হয়ে উঠেন টেসলায় বিনিয়োগে। প্রাথমিকভাবে ইলন মাস্ক মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ বিনিয়োগ করেন টেসলাতে। আর এই বিনিয়োগের পরই তিনি টেসলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এর ঠিক পরের বছর ২০০৫ সালে ব্রিটিশ স্পোর্টস্ কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লোটাসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় টেসলা। চুক্তি অনুযায়ী টেসলার প্রথম গাড়ি রোডস্টার তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সহায়তা দেয় লোটাস। চুক্তির আরো এক বছর পর ২০০৬ সালে টেসলাতে বিনিয়োগ করেন টেক জায়ান্ট গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন এবং ল্যারি পেইজ। এখন টেসলাকে আর পায় কে?
তবে ঐ বছরই কোম্পানির চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক করে বসেন এক অভিনব কান্ড। কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বেশ ঘটা করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন তিনি! বিষয়টিকে মাস্ক আখ্যা দেন ‘সিক্রেট মাস্টারপ্ল্যান’ (secret masterplan) হিসেবে।
ইলন মাস্কের মাস্টারপ্ল্যানটি ছিল অনেকটা এরকম, প্রথমে টেসলা একটি বিলাসবহুল বৈদ্যুতিক স্পোর্টস্ কার তৈরি করবে যেটি শুধুমাত্র ধনীরাই কেনার সামর্থ্য রাখে। সেই স্পোর্টস্ কার বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে মিড–বাজেটের আরেকটি মডেল তৈরি করা হবে। এরপর সেই মডেল থেকেও যে অর্থ আসবে তা ব্যয় করা হবে আরও স্বল্পমূল্যের অপর একটি কার মডেল তৈরির পেছনে যা কিনা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে।
বিওয়াইডির উত্থানের গল্পে টেসলার এতো কাহিনী বলার কারণ ঠিক এটাই,মাস্কের ফাস করা সেই সিক্রেট মাস্টার প্ল্যান। যেটার সুযোগ বেশ ভালোভাবেই নিয়েছে বিওয়াইডি। ভাবছেন প্রাইজিংয়ের এই সুযোগ কিভাবে নিল চীনা প্রতিষ্ঠানটি?
ইলন মাস্কের সেই তথাকথিত সিক্রেট মাস্টারপ্ল্যান মিডিয়াতে বেশ হাস্যরসের জন্ম দিয়েছিল। কারণ মাত্র তিন বছর বয়সী একটি কোম্পানির কাছ থেকে এত সুদূরপ্রসারী ঘোষণা কেউ আশা করেনি। তাছাড়া স্বল্পমূল্যের টেকসই বৈদ্যুতিক গাড়িও তখন মানুষের চিন্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল,বাস্তবতা এতো দ্রুত সামনে চলে আসবে তা কেবল বিওয়াইডি এবং টেসলার মালিকরাই ধারণা করেছিল কেবল। অথচ টেসলা একেই তাদের মূল পরিকল্পনা হিসেবে দাবি করে বসে! তাই চারদিক থেকে আসা বিদ্রূপের ঝড়টাও মাথা পেতে নিতে হয় তাদের।
চলুন তাহলে টেসলা ও বিওয়াইডির দামের তারতম্যটা একবার দেখা আসা যাক,
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টেসলার মডেল 3, মডেল ওয়াই, মডেল এস, মডেল এক্সের দাম ৪০ হাজার ডলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিপরীতে চীনের সবচেয়ে কমদামী গাড়ি মডেল 3 এর দাম প্রায় ৩২ হাজার ডলার। এটি এক চার্জে ২৭২ মাইল যেতে পারে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৪০ মাইল।
অন্যদিকে বিওয়াইডির মডেল সিগাল সর্বনিন্ম দাম প্রায় ২০ হাজার ডলার। এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮১ মাইল। গাড়িটিতে ব্যাটারির দুটি প্যাক রয়েছে। ছোট ব্যাটারিটি দিয়ে ১৯০ মাইল আর বড় ব্যাটারি দিয়ে ২৫২ মাইল যাওয়া সম্ভব।
টেসলা ও বিওয়াইডি উভয়ই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ‘সেইফটি রেটিং‘(safety rating) লাভ করেছে। ২০২২ সালে টেসলার মডেল ওয়াই এবং বিওয়াইডি–এর এটটো 3 যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ান ‘নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম‘ এর কাছ থেকে ‘পাঁচ তারকা‘ রেটিং পেয়েছে।
২০২০ সাল থেকে বিওয়াইডি নিজেরাই লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি বা ব্লেড ব্যাটারি তৈরি করেছে। সেগুলো নিজেদের গাড়িতে ব্যবহারের পাশাপাশি টয়োটার মতো বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করছে।
বিওয়াইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের তৈরি লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি প্রচলিত লিথিয়াম আয়রন সেলের তুলনায় পাতলা ও দীর্ঘস্থায়ী। এইভাবে ব্যাটারি প্যাকের মধ্যেকার স্থানটি ব্যবহার এটির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া ছোট বড় যেকোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও এতে আগুন ধরার সম্ভাবনা কম।
তাই টেসলাও নিজেদের ওয়াই মডেলের গাড়ির জন্য বিওয়াইডির ব্লেড ব্যাটারি ব্যবহার করেছে। যা কিনা বার্লিনে অবস্থিত চীনা কোম্পানিটির গিগা ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়েছে। যদিও গেল বছরের মার্চ মাসে ইলন মাস্ক জানান, বিওয়াইডি–এর সাথে ব্যাটারি সম্পর্কিত সকল ব্যবসা বন্ধ করছে টেসলা।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বরের হিসেবে বছরের শেষ চতুর্থাংশে প্রথমবারের মতো বিওয়াইডি টেসলার তুলনায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন গাড়ি গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দিতে পেরেছে। এতে করে বছর শেষে টেঁসলার তুলনায় গাড়ি বিক্রিতে বেশ এগিয়ে গিয়েছে কোম্পানিটি।
আসলে পরিশ্রম যে সৌভাগ্যের প্রসূতি এর জ্বলন্ত উদাহরণ ওয়াং চুয়ানফুর ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি। যা কিনা একসময় চীনের অখ্যাত ব্যাটারি তৈরির একটি কোম্পানি ছিল মাত্র, আর সেটিই এখন বৈশ্বিক বাজারে টেসলার মতো জায়ান্ট কোম্পানিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
২০২৩ সালকে কখনও ভুলতে পারবেন না ইলন মাস্ক। অধিকাংশ মানুষই এইটা জানে না, টেসলার আসল প্রতিষ্ঠাতা আসলে ইলন মাস্ক নন। সম্প্রতি টেসলা ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে গেছে চীনের শেনচেনভিত্তিক কোম্পানি বিওয়াইডি। গত বছর তাদের মোট গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লক্ষ, যেখানে টেসলা বিক্রি করেছে মোটে ১৮ লক্ষ ইলেকট্রিক কার। টেসলাকে হটিয়ে বিওয়াইডির এই উত্থান দেখে ধারনা করা যায় টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারের একচ্ছত্র অধিপতি এবার ঘনিয়ে এসেছে।
আজকের জন্য এই পর্যন্তই। ব্লগটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানাবেন । সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিদিন আপডেট পেতে চাইলে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন।