৫০ বছরের ইতিহাসের কি, শেষ অধ্যায় আসছে? | Nasir Group History | Business Mania
নব্বই এর দশকে টিভি চালু করলেই নাসির গ্রুপের কোনো না কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ত। চশমার কাঁচ থেকে শুরু করে সিরামিক (Ceramic), কাচের বোতল,মেলামাইন (Melamine) এর পণ্য, জাম্প কেডস, সিমেন্ট—নাসির গ্রুপের নাম তখন সবার মুখে মুখে। একসময় তাদের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, বাংলাদেশের অন্যতম সফল শিল্পগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিচিতি পায় তারা।
বাংলাদেশে অনেক পন্যের প্রথম উৎপাদন ও শুরু হয়েছিল এই নাসির গ্রুপের হাত ধরেই যেমন
ফ্লোট গ্লাস ফ্লুরোসেন্ট গ্লাস টিউব, গ্লাস টেবিলওয়্যার মেলামাইন পণ্য সিরামিক টাইলস কেডস
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নাসির গ্রুপের সেই দাপট অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। বাজারে তাদের প্রভাব কমেছে, প্রতিযোগিতায় টিকতে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিটি। ব্যবসার মন্দার পাশাপাশি পারিবারিক কলহও নাসির গ্রুপের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। বিশেষ করে নাসির গ্রুপের কর্ণধার নাসির বিশ্বাসের দুই স্ত্রীর মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, মামলা-মোকদ্দমা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কোম্পানির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
কিন্তু কীভাবে নাসির গ্রুপ এমন পতনের মুখে পড়ল? একসময়কার সফল এই শিল্পগোষ্ঠী কি আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? আজকের ভিডিওতে আমরা জানব নাসির গ্রুপের উত্থান-পতন আর সংকটের আসল কারণ। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!
নাসির গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নাসির উদ্দীন বিশ্বাস এর জন্ম হয় কিন্তু সামান্য একটা কৃষক পরিবারে। তবে বাবা কৃষি কাজের যুক্ত থাকলেও শিক্ষার গুরুত্ব ঠিকই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই ছেলে নাসির উদ্দীনকে তিনি সেই সময়েই শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যা পরবর্তী সময়ে তাকে একজন বড় শিল্পপতি হতে ব্যাপক সাহায্য করে।
নাসির উদ্দীন জন্ম গ্রহন করেন ১৯৪৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সোনাইকুন্ডি গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন এই শিল্পপতি। তার বাবার নাম ইদ্রিস আলী ও মায়ের নাম মোছা. রহিমা বেগম। চার ভাই ও তিন বোনের মাঝে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
কৃষি কাজের মাধ্যমে তিনি তার কর্ম জীবন শুরু করলেও পাশাপাশি লেখা পড়াও চালিয়ে যান। ১৯৬৭ সালে তিনি হোগলবাড়ীয়া মাধমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন এরপর ১৯৬৯ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ১৯৭১ সালে একই কলেজ থেকে বি কম পাস করেন।
এরপর গ্রামে ফিরে এসে ১৯৭১ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তার স্ত্রীর নাম ছিল আনোয়ারা বিশ্বাস। যদিও পরে ৮০ এর দিকে তিনি আরেকটি বিবাহ করেন। তার সেকেন্ড স্ত্রীর নাম তাসলিমা সুলতানা। দুই ঘরেই তার রয়েছে তিনটি করে ছটি সন্তান।
১৯৭১ সালে গ্রামে ফিরে তিনি কৃষি কাজ শুরু করলেও তিনি তামাক ব্যাবসার সাথেও যুক্ত হন। ১৯৭ও সালে তিনি নিজের একটা তামাক ফ্যাক্টরি দেন। পরবর্তী ৪ বছরে তিনি এই ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম আরো বিস্তার করেন। পরে ১৯৭৬ সালে নাসির বিড়ি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন।
এরপর তিনি ১৯৭৭ সালে কুষ্টিয়া বিসিক শিল্পনগরীতে নর্থবেঙ্গল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। আর এর মাধ্যমেই যাত্রা শুরু করে নাসির গ্রুপ।
বর্তমানে নাসির গ্রুপের অধীনে রয়েছে ১২টির মতো প্রতিষ্ঠান।
যেগুলো হল
নাসির টোব্যাকো কোম্পানি
এটি নাসির গ্রুপের প্রথম প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তামাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি প্রায় ২৫% এর বেশি মার্কেট শেয়ার ধারণ করে এবং এর উৎপাদিত তামাক পণ্যগুলি দেশের সব অঞ্চলে পাওয়া যায়। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে সিগারেট (Cigarette) উৎপাদন করলেও, এখন তামাকজাত অন্যান্য পণ্যও তৈরি করে।
নাসির ফুডস
নাসির ফুডস কোম্পানি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এটি দেশের খাদ্য শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্ন্যাকস, ড্রিংকস, রেডিমেড ফুড এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য উৎপাদনে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের বাজারে প্রায় ১০-১২% শেয়ার রাখে।
নাসির রিয়েল এস্টেট
নাসির গ্রুপের রিয়েল এস্টেট সেক্টর ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজ করে। এর একাধিক বড় প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে ঢাকা শহরের কয়েকটি আবাসন প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। নাসির রিয়েল এস্টেট বাজারে ৮-১০% শেয়ার রাখে এবং উচ্চমানের প্রকল্পে তার পরিচিতি রয়েছে।
নাসির অটোমোবাইলস
২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি অটোমোবাইল শিল্পে প্রবেশ করে। এটি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গাড়ি ব্র্যান্ডের বিক্রয় ও সার্ভিস প্রদান করে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাংলাদেশে গাড়ি বিক্রির বাজারে ১০-১৫% শেয়ার ধারণ করে।
নাসির ডিস্টিলারী
এই কোম্পানিটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মদ এবং অন্যান্য অ্যালকোহলিক (Alcoholic) পণ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে এর পণ্য ব্যাপকভাবে বিক্রি হয় এবং এটি দেশে অ্যালকোহল বিক্রির ৫-৮% শেয়ার ধারণ করে।
নাসির ইলেকট্রনিক্স
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত নাসির ইলেকট্রনিক্সের পণ্য মধ্যে টেলিভিশন (Television), ফ্রিজ (Fridge), ওয়াশিং মেশিন (Washing Machine), ব্লেন্ডার (Blender) ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে এটি ৫-৭% শেয়ার ধারণ করে এবং এর পণ্য বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
নাসির ফোর্ট গ্লাস
নাসির ফোর্ট গ্লাস ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি গ্লাসের পণ্য উৎপাদন করে, যার মধ্যে কাচের বোতল, গ্লাস ওয়ার (Glassware), এবং অন্যান্য কাচের পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কাচের বাজারে প্রায় ৮-১০% শেয়ার ধারণ করে এবং দেশের অন্যতম বড় কাচ উৎপাদনকারী হিসেবে পরিচিত। নাসির ফোর্ট গ্লাসের পণ্য শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
নাসির গ্রুপ
নাসির ফোর্ট গ্লাস তাদের দুটি কারখানার সম্মিলিত উৎপাদন এখন দেশের চাহিদা মেটায়, যার পরিমাণ প্রতি মাসে প্রায় ৩০,০০০ টন। শিল্পসংশ্লিষ্টদের মতে আর্থিক মূল্যের বিবেচনায় বাংলাদেশে ফ্লোট গ্লাসের বাজার এখন বছরে ২০,০০০ কোটি টাকার বেশি হবে। এক্ষেত্রে নাসির গ্রুপ রয়েছে বাজারের শীর্ষে।
নাসির মেলামাইন
নাসির মেলামাইন ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি মেলামাইন পণ্য উৎপাদন করে, যা মূলত থালা, বাটি, গ্লাস, কেটলি, কাপ ইত্যাদি রেঁস্তোরায় ব্যবহৃত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মেলামাইন পণ্য শিল্পে ১২-১৫% শেয়ার ধারণ করে এবং এর পণ্য স্থানীয় বাজারে খুবই জনপ্রিয়।
নাসির গ্লাস
নাসির গ্লাস ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি গ্লাস পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটি কাচের তৈজসপত্র, গ্লাস ওয়ার এবং শো-পিস তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। এই কোম্পানি বাংলাদেশের কাচের পণ্য শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর পণ্য ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়, বিশেষ করে গৃহস্থালী বাজারে।
নাসির কেডস
নাসির কেডস ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ফুটওয়ার পণ্য উৎপাদন করে। নাসির কেডস ব্র্যান্ডের জুতো বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয় এবং এটি বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে বেশ গ্রহণযোগ্য। কোম্পানিটি বাংলাদেশের ফুটওয়ার বাজারে প্রায় ৫-৭% শেয়ার ধারণ করে এবং দেশব্যাপী এর শো-রুম রয়েছে।
বর্তমানে সব মিলিয়ে নাসির গ্রুপের অধীনে ৩০ হাজার এর বেশি কর্মী কাজ করে থাকে আর তাদের মার্কেট টার্ন ওভার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা টাকা
নাসির উদ্দীন বিশ্বাস নিজেও শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতেন তাই শিক্ষা বিস্তারেও নাসির উদ্দিনের অবদান অনস্বীকার্য। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন নাসির উদ্দিন বিশ্বাস। পরবর্তী সময়ে সরকার তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তর করে।
আল্লারদর্গায় প্রতিষ্ঠা করেন নাসির উদ্দিন বিশ্বাস গার্লস হাই স্কুল। পরবর্তী সময়ে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়। এ ছাড়া দৌলতপুর উপজেলার বড়গাংদিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেন নাসির উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ। বর্তমানে আল্লারদর্গায় সুবিশাল পরিসরে নির্মাণাধীন ও কার্যক্রম চলমান রয়েছে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও নার্সিং ইনস্টিটিউট।
এছাড়াও মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসাসেবায় আনেয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু কেন্দ্র দৌলতপুরের প্রসূতি মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।
তবে ২০২২ এর ১২ই সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দীন বিশ্বাস মারা যান। আর সেই সাথে শুরু হয় নাসিরগ্রুপের অধপতন।
আর এর মূল কারণে রয়েছে নাসির উদ্দীনের দুই স্ত্রীর সন্তানদের মাঝে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ।
নাসির গ্রুপের অধীনে টোটাল ১২টা কোম্পানি থাকলেও বর্তমানে নাসির গ্রুপের ৮টি কোম্পানি বর্তমানে নাসিরের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার সন্তানেরা নিয়ন্ত্রণ করেছন। এগুলো হলো বাংলাদেশ মেলামাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির গ্লাসওয়্যার অ্যান্ড টিউব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির লিফ টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নাসির বিড়ি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
নাসির উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা এসব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর তার ছেলে মামুন বিশ্বাস চেয়ারম্যানের পদে আছেন।
গত তিন বছরে তসলিমা ও তার তিন সন্তান এসব কোম্পানির মালিকানার দাবিতে হাইকোর্টে ২৫টি মামলা করেছেন। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর তদারকির জন্য একজন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীকালে এ স্বাধীন পরিচালক কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ করেন।
মামলার নথি অনুসারে, দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানেরা অভিযোগ করেছেন, নাসিরের মৃত্যুর পর তার প্রথম স্ত্রী এবং তার সন্তানেরা বেআইনিভাবে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তারা নাসির উদ্দিনের সমস্ত শেয়ার দখল করে দ্বিতীয় পক্ষকে তাদের ‘ন্যায্য মালিকানা’ থেকে বঞ্চিত করেছেন।
আইনজীবীরা বলেছেন, দ্বিতীয় পক্ষ তাদের ‘আইনগত অধিকার’ পাওয়ার জন্য আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাসির গ্রুপের একটি কোম্পানির একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, ‘নাসির গ্লাস দেশের ফ্লোট গ্লাসের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদনকারী। তবে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর ব্যবসায় কিছুটা মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। এখন অন্যান্য কোম্পানি বাজারে ভালো অবস্থানে আসছে।’
এছাড়া বর্তমানে বারিধারাতেই নাসির গ্রুপের রয়েছে দুটা মূল অফিস। যার একটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের আর অন্যটি সেকেন্ড স্ত্রীর।
তবে শোনা যাচ্ছে তার প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তানদের মাঝেও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বিদ্যমান।
প্রিয় দর্শক বর্তমানে এই হলো নাসির গ্রুপ এর অবস্থা। যেই সমস্যার সুরাহা এখনো হয় নি। প্রিয় দর্শক আমাদের আজকের আলোচনা এই অব্দি। আলোচনাটি ভালো লাগলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। সেই সাথে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকবেন।