বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরে সঙ্কটের কারন কি ? Crisis in BD Bank Sector
বাংলাদেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর:
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে আলোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে তারল্য সংকটে পড়া এবং চড়া সুদে ধার নেওয়ার মত ঘটনাগুলো ক্রমেই বেশি আলোচিত হচ্ছে। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক গুলোর তারল্য সংকটের সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বহিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোও সংকটে পড়েছে। কিছু ব্যাংককে জোর করে একত্রিত করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু এই প্রচেষ্টা তারল্য সংকট দূর করতে কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এর মধ্যে, কিছু ব্যাংক কেলেঙ্কারীর শিকার হয়ে পড়েছে, এবং গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান সময়ে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা নিয়ে রয়েছে বেশ উদ্বেগজনক তথ্য। কোথাও কোথাও আগে থেকে না বললে ইনস্ট্যান্ট (Instant) টাকা উইথড্র (Withdraw) করাটাই হয়ে পড়ছে দুঃস্কর। এক দিকে যেমন বাজার দর বাড়ছে হু হু করে, অপর দিকে কমছে রিজার্ভ (Reserve), অন্যদিকে তারল্য সংকট তো রয়েছেই। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার (Money Laundering) হচ্ছে দেশ পেরিয়ে বিদেশে অহরহ! আজ আপনাদের মাঝে আমরা তুলে ধরার চেস্টা করবো দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের কিছু ভয়াবহ দুরবস্থা, যেটা সম্পর্কে আপনার অবগত হওয়ার সব চাইতে বেশি প্রয়োজন । বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার অবগত না থাকলে আপনিও পড়তে পারেন ঘোর এক সংকটে । জানার চেষ্টা করবো বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের আদ্যপান্ত।
বাংলার প্রথম আধুনিক ব্যাংক এর নাম ছিলো “হিন্দুস্তান ব্যাংক” (Hindustan Bank), ১৭৭০ এ যা প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায়। এর পর কেটে গেছে আরো ২ শতাব্দীর। আরো কিছু ব্যাঙ্ক ও ডালপালা মেলেছে বাংলায়। কখনো ব্রিটিশ দের নিয়ন্ত্রনে, কখনো আবার ভারত বা পাকিস্তানের অধীনে।
স্বাধীনতার সময়ে ১৯৭১ সালে ব্যাংকিং খাত গঠিত হয়েছিলো তৎকালীন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (State Bank of Pakistan) দুটি শাখা আর ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক নিয়ে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তড়িঘড়ি করে তৎকালীন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখাকে বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) নামকরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ঘোষণা করে। মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রাহার প্রণয়ন, রিজার্ভ এর দেখাশোনা সব দায়ীত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কে। বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে সরকারি মালিকনাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদের অধীনে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্বাধীনতার পর ১২টি ব্যাঙ্কিং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে তাদের কে জাতীয় করণের আওতায় নিয়ে আসে তৎকালীন সরকার। বীমা প্রতিষ্ঠান গুলো ও চলে এলে জাতীয় করনের আওতায়, সোনালী (Sonali Bank), রূপালী (Rupali Bank), অগ্রনী (Agrani Bank), জনতা (Janata Bank), পূবালী (Pubali Bank), উত্তরা (Uttara Bank) ব্যাঙ্কের জন্ম লগ্নের সূচনা ও সেই থেকেই।
কেমন ছিলো এই দেশের জন্ম লগ্নের শুরুর দিকের ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ?
১৯৭০-এর দশকে ঋণ ব্যবস্থার প্রাথমিক কাজ ছিল মূলত বাণিজ্য এবং সরকারী খাতে অর্থায়ন করা, যা ছিল মোট ঋণের প্রায় ৭৫%। ১৯৮২ সালের ১২ এপ্রিল দেশের প্রথম প্রাইভেট ব্যাঙ্ক “আরব বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক” (Arab Bangladesh Bank) যাত্রা শুরু করে। এরপর এলো ধীরে ধীরে বেশ কিছু ব্যাক্তিমালিকানাধীন (Privately Owned) ব্যাঙ্ক।
তবে মুদ্রার অপরপিঠ ও দেখলো দেশীয় ব্যাঙ্ক গুলো খুব দ্রুতই। ১৯৮৬ অর্থবছরে কৃষি ঋণের বকেয়া আদায়ের হার ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ, শিল্প ঋণের ক্ষেত্রে অবস্থা ছিল আরো খারাপ, এই দুরবস্থার ফলে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও ঋণ শৃঙ্খলা জোরদার করতে সরকার ও ব্যাংকগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান ঋণদাতারা ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। যার ফলস্বরূপ, ১৯৮৭ সালের দিকে বকেয়া আদায়ের হার বাড়তে শুরু করে। তখনকার অবস্থাপনার মধ্যেও গ্রামীন ব্যাঙ্ক (Grameen Bank) ছিলো বেশ ব্যাতিক্রম। ১৯৮৩ সালে এই ব্যাংক স্বাধীন সতন্ত্র এক ব্যাঙ্ক হিসাবে যাত্রা শুরু করে, আশির দশকের শেষ দিকে ব্যাঙ্ক টি কোনো বৈদেশিক সাহায্য (Foreign Aid) ছাড়াই ক্ষুদ্র ঋন প্রকল্প শুরু করে। ব্যাঙ্কটির ৭০ শতাংশ ঋণ গ্রহীতা ই ছিলো তখন মহিলা। ১৯৮৬ সালের দিকে ব্যাঙ্কিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহনের পরিমান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। সম্পদের অসম বন্টন বৈষম্য চুড়ান্ত এক রুপ লাভ করে।
আধুনিক ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থায় বাংলাদেশ প্রবেশ করে জন্মলগ্নের পরের সময়টাতেই। ৬টি রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্ক থেকে, রূপালী (Rupali Bank), উত্তরা (Uttara Bank), এবং পূবালী (Pubali Bank) ব্যাঙ্ককে বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হয় যার ভিতরে রূপালী (Rupali Bank) ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রয়াত্ব শেয়ার বেশি বিধায় এখন ও অনেক দলিলে রূপালী ব্যাঙ্ক কে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্ক হিসেবে দেখানো হয়। তবে ১৯৮৩ সালে উত্তরা (Uttara Bank) ব্যাঙ্ক কে, এবং ৮৬ তে পূবালী (Pubali Bank) ব্যাঙ্ক কে সম্পূর্ণ ব্যাক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হয়। দেশে ৪৪টি বেসরকারী ব্যাঙ্ক (Private Banks), তিনটি বিশেষায়ীত ব্যাঙ্ক (Specialized Banks), একটি ডিজিটাল ব্যাঙ্ক পিএলসি (Digital Bank PLC), ৯টি বিদেশি ব্যাঙ্ক (Foreign Banks), সহ বর্তমানে তালিকাভুক্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৬২। অতালিকা ভুক্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা পাঁচ। দেশে এখন ও কোনো সতন্ত্র বিনিময় ব্যাংক (Merchant Bank) বা মার্চেন্ট ব্যাংক নেই, তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেন্জ কমিশন (Bangladesh Securities and Exchange Commission) দেশের ২৫টি ব্যাংক কে সম্প্রতি, মার্চেন্ট ব্যাংকিং (Merchant Banking) এর অনুমদন দিয়েছে। নগদ পিএলসি (Nagad PLC) পেয়েছে প্রথম ডিজিটাল ব্যাঙ্ক (Digital Bank) এর স্বীকৃতি। দেশের সব রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংক (State-Owned Banks) গুলোকে আনা হয়েছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির আওতায়। অনলাইন ব্যাংকিং (Online Banking) সহ আধুনিক সব সুবিধা ও রয়েছে। তবে সব কিছুর মূলে যে আসল বিষয়বস্তু ক্যাশ ফ্লো (Cash Flow) এটা তে ই বার্থ হয়েছে বার বার।
উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে, খুব পরিচিত একটা বাগধারা। আর। এভাবেই চলছে দেশের ব্যাঙ্ক ব্যাবস্থা গত কয়েক যুগ ধরেই।
পি কে হালদার (PK Haldar) কে দিয়ে শুরু করি। যারা দেশের দুনীতির (Corruption) টুক টাক খোজ খবর রাখেন এই দুনীতির মহানায়ক কে অবশ্যই চিনেন। এই মোস্ট ওয়ান্টেড (Most Wanted) ক্রিমিনাল (Criminal) ২০২০ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (International Leasing and Financial Services Limited) থেকে 15 হাজার কোটি টাকা, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (FAS Finance and Investment Limited) থেকে 22 হাজার কোটি, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (Peoples Leasing and Financial Services Limited) থেকে 30 হাজার কোটি এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (Reliance Finance Limited) থেকে 25 হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন। প্রায় ১০২ কোটি টাকা পাচার (Money Laundering) এর এই কেইস দেশের ইতিহাসে অন্যতম এক ঘটনা। জি না, এখানেই শেষ নয়। ঘটনা আরো বাকি। এদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে বার বার এমন দানবেরা আঘাত করে মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে এমন নজির অহরহ।
দেশের অর্থব্যাবস্থায় আর এক বড় রোগের নাম ঋণ খেলাপি (Non-Performing Loan)। সাবেক অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সংসদে দেওয়া তথ্যমতে, শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপি র কাছে খেলাপি ঋণের পরিমান ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। যা প্রায় একটা পদ্মসেতু নির্মান ব্যায় এর অর্ধেক। কি, গায়ে কাটা দিচ্ছে ! সবেমাত্র ট্রেলার দেখলেন, ঘটনার আরো বাকি, এই খেলাপি ঋণের অর্ধেকের বেশি শীর্ষ ৫ রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্কের। ব্যাঙ্কগুলো নানা সুবিধা দেওয়ার পর ও এই খেলাপি ঋণ তো কমছেই না, বরং বাড়ছে, মার্চে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (Policy Research Institute of Bangladesh) (পিআরআইবি) এর মতে দেশের খেলাপী ঋণ এর পরিমান আরো বেশি। শর্ত সঠিকভাবে পরিচালন করা হলে খেলাপি ৪ লাখ কোটিতে ঠেকতে পারে বলেও মনে করছেন পিআরআইবি। এই খেলাপি ঋণ থেকেই তৈরী হয়েছে ভয়াবহ তারল্য সংকট। যার ফলে ১৫টির ও বেশি ব্যাঙ্ক রয়েছে বিষেশ রকম সংকটে। ন্যাশনাল ব্যাংক (National Bank), পদ্মা ব্যাংক (Padma Bank), এবি ব্যাংক (AB Bank), ওয়ান ব্যাংক (One Bank), বেসিক ব্যাংক (Basic Bank), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (Bangladesh Commerce Bank) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (Bangladesh Development Bank Limited) (বিডিবিএল)। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক বসানো ৮ ব্যাংক—সোনালী ব্যাংক (Sonali Bank), জনতা ব্যাংক (Janata Bank), রূপালী ব্যাংক (Rupali Bank), অগ্রণী ব্যাংক (Agrani Bank), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (Bangladesh Krishi Bank), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (ICB Islamic Bank), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ (Islami Bank Bangladesh) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (First Security Islami Bank) এর মতো প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে দুর্বল ব্যাঙ্কের তালিকায়। অধিকাংশ ব্যাংক সরকার কিংবা পাওয়ারফুল (Powerful) লোকজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক টিম কিংবা কোনো উদ্দোগ ই ফলপ্রসু হচ্ছে না। বরং বেশ কিছু ব্যাংঙ্কে নজরদারি র পরেও বাড়ছে ঋণ খেলাপি। অপেক্ষাকৃত শক্তিশালি ব্যাঙ্কের সাথে দুর্বল ব্যাঙ্ক গুলো কি মিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও ঘটানোর চেস্টায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি ১২ ব্যাঙ্কের জন্য নোটিশ দিলেও কিছু ব্যাংক ছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক ই এ মিলন এ না করে দিয়েছে। এই মেলবন্ধন কতটা শক্তিশালী হবে না নিয়েও রয়েছে ঘোর সংশয়!
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ (Reserve) স্মরণ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থানে ছিল, এক রিজার্ভ চুরির (Reserve Heist) প্রায় আট কোটি ১০ লাখ ডলার খোয়ানো প্রভাব পরে এদেশের অর্থনীতি তে, যা কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখন ও। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক (Islamic Shariah-Based Banks) গুলো ও পড়েছে তারল্য সংকটে। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাঙ্ক (Islami Bank), এক সময়ের ক্লিন ইমেজের (Clean Image) এই ব্যাঙ্ক এখন আছে সবচেয়ে ইন সিকিউরড (Insecured) ব্যাঙ্কের তালিকায়।
একদিকে যেমন টাকা নেই, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের সীমাহিন উর্ধগতি, দেশের সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিটা মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে তাই নেমে এসেছে সীমাহিন দুর্গতি। দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর এর এই প্রতিনিয়ত দুর্নীতি (Corruption), পাচার (Money Laundering), কিংবা জর্জরিত নানা সমস্যা গুলো স্পস্ট ইংঙ্গিত দিচ্ছে দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরের ভয়াবহ নিকট ভবিষ্যতের। যার ভুক্তভোগী হচ্ছে হবে, আপনার আমার মতো সাধারন মানুষ। যাদের আয় অল্প কিংবা সামন্য।
ব্লগটি ভালো লেগে থাকলে মন্তব্য জানান কমেন্ট বক্সে, পরবর্তি ব্লগ পড়তে বিজনেস ম্যানিয়ার নিউজলেটারটি সাবসস্ক্রাইব করুন।