ইলন মাস্কের সাফল্যের গল্প এবং টেসলার অজানা কালো অধ্যায়
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল বিদ্যুৎ চালিত গাড়ীর কোম্পানী টেসলা কিভাবে গড়ে উঠেছিল দুই জন ইঞ্জিনিয়ার মার্ক টার্পেনিং ও মার্টিন এবারহার্ডের হাত ধরে? গাড়ি তৈরীর টাকা না থাকায় কি করেছিলেন তারা? কিভাবে তাদের প্রথম গাড়ি লসের খাতায় নাম লিখিয়ে ধাপে ধাপে পরিণত হলো মোট ৭৩,৩৩,০০০ কোটি টাকার শেয়ারের একটি কোম্পানীতে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই দূর্দান্ত কাহিনীটি।
২০০৩ সালে মার্ক টার্পেনিং ও মার্টিন এবারহার্ড যখন ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান কার্লোসে বসে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরীর স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন বিশ্ববাসী কল্পনাও করতে পারে নি ২০ বছর পর তাদের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীটির মাসিক রোজগার হবে ৫,৬৪,৪৩৫ কোটি টাকা এবং বিশ্বজুড়ে পাঁচ হাজার স্থানে পঁয়তাল্লিশ হাজারেরও বেশী সুপার চার্জার স্টেশন পরিচালনা করে ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম লেখাবে।
ঘটনাটির সূত্রপাত ২০০২ সালে। জেনারেল মোটরস নামের একটি কোম্পানী তাদের তৈরীকৃত জেনারেল মোটরস ইভি ওয়ান নামের এক হাজার একশ সতেরোটি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির প্রায় সবগুলো ধ্বংশ করে দেয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটে যাওয়া এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা দারুনভাবে নাড়া দেয় এই দুই তরুন ইঞ্জিনিয়ারকে। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে যে উড়িয়ে দেওয়া যায় না এটা তারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। এবং এ ঘটনার পর থেকেই ২০০৩ সালে তারা একটি গাড়ি তৈরীর কোম্পানী শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সার্বিয়ান–আমেরিকান উদ্ভাবক নিকোলাস টেসলার নাম অনুসারে তারা কোম্পানীটির নাম রাখেন টেসলা। টেসলা কোম্পানী মানুষের প্রথাগত বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রমান করতে চেয়েছিল– বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি গ্যাসচালিত গাড়ির থেকেও সুন্দর, দ্রুতগতির ও টেকসই হতে পারে।
ব্যাপক হারে যত দ্রুত সম্ভব বাজারে বিদ্যুতচালিত গাড়ি নিয়ে আসার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে যেতে এক বছরের মাথায় টেসলা আবিষ্কার করে গাড়ি উৎপাদনের জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ নেই। তাই ২০০৪ সালে ইনভেস্টর হিসেবে টেসলায় পেপালের কো–ফাউন্ডার ইলন মাস্কের আবির্ভাব ঘটে। ইলন মাস্ক টেসলায় ৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন এবং ২০০৬ সালে টেসলা তাদের প্রথম বিদ্যুৎচালিত গাড়ি রোডস্টার বাজারে নিয়ে আসে।
ঝুঁকি এড়াতে টেসলা উন্নতমানের অল্প কিছু অভিনব গাড়ি তৈরী করে। তারপর একটি ইভেন্ট আয়োজন করে যেখানে আগ্রহীদের টেস্ট ড্রাইভের সুযোগ দেওয়া হয় এবং প্রত্যেককে আলাদাভাবে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এই অভিজ্ঞতার ফলে পণ্যের যে চাহিদা তৈরী হয় তার উপরই ভিত্তি করে টেসলা গাড়ি তৈরী করে।
২০০৭ সালে মার্টিন এবারহার্ডকে CEO পদ থেকে সরিয়ে ইলন মাস্ক নিজেই CEO –র ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মার্টিন এবারহার্ডের সাথে তার কিছুদিন আইনী যুদ্ধ চলার পর বিষয়টি তারা নিষ্পত্তি করে নেন। এর এক বছর পর মার্ক টার্পেনিং-ও টেসলা থেকে রিজাইন করেন। ইলন মাস্ককে এবার একাই টেসলা সামলাতে হয়।
২০০৮ সালে সারা বিশ্বে অর্থসংকট দেখা দেওয়ায় টেসলা প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায়। টেসলা তখন শুধুমাত্র কোনরকম টিকে থাকার চেস্টা করতে থাকে। এ সময় ইলন মাস্ক তার ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে প্রায় ৩৩২ কোটি টাকা টেসলাতে বিনিয়োগ করেন।
২০০৯ সালে ডায়েমলার নামের অন্য একটি গাড়ি তৈরীর কোম্পানী টেসলায় প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। এছাড়াও টেসলা ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি থেকে ৪৯,৯৮৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়। যার ফলে টেসলা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবং ২য় বিদ্যুৎচালিত গাড়ি “মডেল এস” বাজারে আনতে সক্ষম হয়।
“মডেল এস” হচ্ছে একটি বিলাশ বহুল সেডান, যা দ্রুত মানুষের কাছে জনপ্রিয়টা লাভ করে এবং ২০১২ সালে এর বিক্রি প্রায় ৪৩৩ কোটি টাকায় পৌছে যায়।
২০১৪ সালে টেসলা গাড়ি-চালককে সহায়তা করার জন্য অটোপাইলট নামের একটি সিস্টেম চালু করার ঘোষণা দেয়। তারপর টেসলা পাওয়ার ওয়াল ও পাওয়ার প্যাক ব্যাটারী প্যাক নামক সোলার এনার্জি ভিত্তিক দু’টি পণ্যকে সাথে নিয়ে এনার্জি সেক্টরে নিজের ব্যবসাকে প্রসারিত করে।
২০১৫ সালে টেসলা অটোপাইলট সিস্টেমকে সাপোর্ট করার জন্য তার সমস্ত গাড়ির সাথে সেন্সর ও সফটওয়্যার দেওয়া শুরু করে। শুধু তাই নয়, টেসলা তার সমস্ত এনার্জি নির্ভর পন্য একই ছাদের নীচে অধিক পরিমানে, কম খরচে ও দ্রুততম সময়ে তৈরী করতে গিগা ফ্যাক্টরী তৈরীর উদ্যোগ নেয় এবং এ জন্য আঠারোশো চৌষট্টি একর জমিও কিনে ফেলে। টেসলার এ দূরদর্শিতা পরবর্তীতে এনার্জি পন্যগুলো আরো বেশী মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌছে দেয় এবং মডেল থ্রি বাজারে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
সোলার এনার্জিকে আরো বেশী সহজলভ্য করতে ২০১৬ সালে টেসলা সোলার এনার্জি সংক্রান্ত একটি ফার্ম “সোলার সিটি” কিনে নেয় । এর ফলেই টেসলা বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি ও অন্যান্য সোলার পণ্য একই জায়গা থেকে বিক্রি করতে সক্ষম হয়।
২০১৭ সালে টেসলা ব্যাপক হারে মানুষের কাছে তার পন্য পোছে দিতে বাজারে তার ৩য় বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি মডেল থ্রিনিয়ে আসে যেটা কিনা আগের মডেলের তুলনায় আরো বেশী সাশ্রয়ী। মডেল থ্রি কেও ক্রেতারা বিপুল আগ্রহের সাথে লুফে নেয়।
কিন্তু ২০১৮ সালে সমস্যাটা হয় অন্য জায়গায়।
একদিকে বাজারে গাড়ির চাহিদা একদম তুঙ্গে। অন্যদিকে গাড়িতে উন্নত প্রযুক্তি ও অটোমেশন যুক্ত করতে গিয়ে গাড়ি তৈরীর প্রক্রিয়া অনেক ধীর গতির হয়ে যায়। সময় ও চাহিদা অনুযায়ী গাড়ির ডেলিভারী দিতে পারছিল না টেসলা। যার কারণে স্টক মার্কেটে তার শেয়ারের দামও কমতে থাকে। এত বেশী চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে রীতিমত বিপত্তিতে পড়ে যায় টেসলা। সমাধান বের করতে গিয়ে কয়েক বার গাড়ি তৈরী বন্ধ করে দেয় এবং অটোমেশন ও গাড়ি তৈরীর প্রক্রিয়াকে কিভাবে দ্রুত করা যায় সেটা নিয়ে তারা একটা পরিকল্পনার ছক তৈরী করে। প্রথমত, টেসলা তার গাড়ি তৈরীর প্রক্রিয়াকে আগের থেকে আরো দ্রুত করে এবং তারপর গাড়িকে সফলভাবে কাস্টমারদের কাছে পৌছে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যকে পূরণ করে।
২০২০ সালে টেসলা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ৪৩৮ টি স্টোর এবং ১০০ টি সার্ভিস সেন্টার তৈরীর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে তার পরিধি বিস্তার করে এবং আমেরিকা ও চীনে সফলভাবে তার গাড়ি তৈরীর কারখানা গড়ে তোলে। এখন পর্যন্ত টেসলাই প্রথম পাশ্চাত্য কোম্পানী যে কোনো জয়েন্ট ভেঞ্চার ছাড়াই চীনে তার কারখানা গড়ে তুলতে পেরেছে।
বিস্ময়করভাবে টেসলা তার ব্যবসার পরিধি দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে। গাড়ি চার্জ করার জন্য ২০২৩ সালের মধ্যে টেসলা বিশ্বজুড়ে পয়তাল্লিশ হাজারেরও বেশী সুপারচার্জার স্টেশন পরিচালনা করছে যা আজ পর্যন্ত কোনো কোম্পানী কখনো করতে পারে নি। এ যাবত টেসলা উনিশ লাখ সতেরো হাজার চারশো পঞ্চাশটি গাড়ি বিক্রি করেছে। মোট ৯৯,৯২০ জন কর্মচারী টেসলায় কর্মরত রয়েছেন।
কিন্তু এমন কি আছে টেসলার গাড়িগুলোতে যার জন্য পৃথিবীজুড়ে লাখ লাখ মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে? এতে এমন কিছু ফিচার আছে বিশ্বের আর কোনো গাড়িতে নেই।
টেসলা গাড়িতে রয়েছে প্রায় ১৭ ইঞ্চির একটি বড় টাচ স্ক্রিন যেটা দিয়ে স্মার্ট ফোনের মতো আংগুলের ছোঁয়াতেই গাড়ি চালনা থেকে শুরু করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও অডিও প্লে সহ আপনি পুরো গাড়ির সব কিছু সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর অটোপাইলট সিস্টেম প্রয়োজনে আপনার হয়ে গাড়ি চালনা, গতি বাড়ানো, কমানো, এমন কি ব্রেকও কষিয়ে দেবে।
সুপার চার্জারের মাধ্যমে আপনি প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে গাড়িটি চার্জ করে নিতে পারবেন। এবং একবার চার্জের পর মডেল ভেদে ২৬৩ -৪০৫ মাইল পর্যন্ত গাড়িটি চালনা করা যাবে। মেটাল চাবির পরিবর্তে আপনি টেসলার অ্যাপের মাধ্যমেই ভারচ্যুয়াল চাবি পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে টেসলা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের নতুন নতুন উন্নত সেবা দিয়ে আসছে। এছাড়াও কি-কার্ড নামের একটি ওয়াটার প্রুভ কার্ড দিয়েও আপনি গাড়িটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, গাড়িটির “সেন্ট্রি মোড” যে কোনো সন্দেহজনক ঘটনা সনাক্ত করে রেকর্ড করতে থাকে, অ্যালার্ম বাজায় এবং ব্যবহারকারীকে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেয় যা চুরি ও ডাকাতি থেকে গাড়িটিকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। গাড়ির ক্যামেরা ও টেসলা অ্যাপ ব্যবহার করে চাইলে আপনি ভিডিও কলও করতে পারেন আপনার প্রিয় কাউকে।
এর লুডিক্রোয়াস প্লাস মোড দিয়ে আপনি ২ সেকেন্ডের মধ্যে গাড়িকে শূন্য থেকে ঘন্টা প্রতি ৬০ মাইল গতিতে চালনা করতে পারবেন। বায়োউইপেন ডিফেন্স মোড বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ সরিয়ে গাড়ির ভেতরের পরিবেশকে বিশুদ্ধ রাখবে। এখন এ আই বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এসে যাওয়ায় টেসলা একটি কথা বলা বুদ্ধিমান গাড়িতে পরিণত হয়েছে যে কিনা আপনাকে বোঝে। আপনি তাকে যেমন নির্দেশ দিতে পারবেন, তেমনি পারবেন কথা বলা চালিয়ে যেতে।
অর্থ্যাৎ টেসলা তার ক্রেতাদের দরকার ও জীবন যাত্রাকে মাথায় রেখে প্রযুক্তি জুড়ে দিয়ে তার পণ্যকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মানে উন্নীত করেছে এবং তার ক্রেতাকে সবসময় খুশী রাখার চেস্টা করেছে।
কিন্তু টেসলা কোম্পানী তার গাড়ির প্রচারণা কিভাবে করেছে?
শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি টেসলার গাড়ির প্রচার শুরু হয় মুখে মুখেই। এছাড়া ব্লগ ও ফোরামের মাধ্যমে টেসলা তার ক্রেতাদের সাথে যুক্ত থাকে।
এছাড়া টেসলা অ্যাপলের প্লে বুক ধার নিয়ে ফিজিক্যাল স্টোরের একটি সেট তৈরী করে যেখানে সম্ভাব্য ক্রেতারা টেসলা গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা নিতে পারেন এবং তারপর গাড়িটি ডেলীভারি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। টেসলা তার ওয়েবসাইড থেকেই সরাসরি গাড়িগুলো ব্যবহারকারী ক্রেতার কাছে বিক্রি করে। এর আর কোনো ডিস্ট্রিবিউটর নেই। প্রত্যেক ক্রেতার সাথে টেসলা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইনে যুক্ত থাকে। ক্রেতার সর্বচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে টেসলা তার নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলে।
ভালো পন্য ও সেবা দেওয়ার সাথে সাথে ব্যবসাকে লাভজনক রাখতে টেসলা গাড়ির মূল্যটাও একটু চড়া রাখে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে টেসলা কখনই প্রতিযোগীদের টেনে নীচে নামানোর চেস্টা করে না। বরং প্রতিযোগীদের আরো ভালো গাড়ি বানানোর জন্য অনুপ্রাণিত করে।
আমরা খেয়াল করলে দেখবো, টেসলা পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ নির্ভর গাড়ি দিয়ে শুরু করে প্রাসংগিক পন্যগুলোর একটা সিরিজ ব্যবসা এমনভাবে গড়ে তুলতে থাকে যেন প্রতিটি ব্যবসা একে অপরকে সাপোর্ট করতে থাকে এবং প্রত্যেক ব্যবসার ক্রেতা উপকৃত হয়। এভাবে তার প্রতিটি ব্যবসার প্রসার ঘটতেই থাকে এবং ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক জগতে সে অপ্রতিদন্ধি হয়ে ওঠে।
২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে টেসলা ব্যবহারকারীরা গ্যাস-চালিত গাড়ির বদলে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে ৫ মিলিয়ন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হওয়া থেকে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে দেয় এবং এভাবেই সে তার স্থিতিশীল এনার্জি ও পরিবেশের উপর একটা ভালো প্রভাব রাখার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এভাবেই বোধহয় স্বপ্নচারীরা স্বপ্নের পিছনে মরিয়া ছোটে আর পৃথিবীকে নতুন দিনের আশা দেখায়। সাফল্যের চূড়ান্তে গিয়ে পালটে দিতে থাকে আমাদের জীবন।
এই ছিল আমাদের আজকের গল্প। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিন এবং সাবস্ক্রাইব করে রাখুন নিউজলেটার। ব্লগটি কেমন লাগলো এবং পরবর্তিতে কোন বিজনেসের বিষয়ে জানতে চান তা কমেন্টে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।