The Untold Story of Raytheon | উদ্ভাবন যখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়!
২০২২ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী আমেরিকার বানকম্ব কাউন্টি (Buncombe) কমিশনে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি এর ১০ লক্ষ বর্গফুটের জেট ইঞ্জিন নির্মান কারখানা হতে অত্যাধিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, স্থানীয় নদীর উপর পরিবেশগত প্রভাব, কাছাকাছি বন ও জলাভূমিতে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও কারখানা নির্মানে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব ও স্থানীয় সরকারের এই নিয়ে দুর্নীতির ও অভিযোগ ছিল। শেষ পর্যন্ত বানকম্ব কাউন্টি বাসিন্দাদের পিটিশনের কি হয়েছিল সে কথায় পরে আসছি।
এই প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ছিল রেথিয়ন টেকনোলজির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান যারা মার্কিন সামরিক বাহিনির জন্য জেট ইঞ্জিন তৈরি করত। আর রেথিয়ন টেকনোলজি হল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক যন্ত্রাংশ নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। রেথিয়ন গত অর্থবছরেই প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছে যার মুনাফার পরিমান ছিল ৪০০ কোটি ডলারের ও বেশি ।যা প্রথম স্থানে থাকা লকহীড মারটিন থেকে ৩০০ কোটি ডলার কম। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্টস অফ ওয়ার প্রজেক্ট অনুসারে, শুধুমাত্র ২০১৯ এবং ২০২০ সালে, আমেরিকার ফেডারেল সরকার ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যের রেথিয়ন সামরিক চুক্তি প্রদান করেছে।
রেথিয়ন কর্পোরেশন! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি নাম। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, রাডার প্রযুক্তি এবং সাইবার সিকিউরিটির জন্যে এই কর্পোরেশন সারাবিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু একটি ডিফেন্স কর্পোরেশন হয়ে রেথিয়ন কর্পোরেশন কিভাবে একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেন প্রযুক্তির সাথেও যুক্ত ছিল? জানবো রেথিয়ন কর্পোরেশনের ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং তাদের অন্ধকার দিক। তাই এই ব্লগটি শেষপর্যন্ত পড়ুন।
[ইতিহাস]
১৯২২ সালে তিনজন স্বপ্নদর্শীর হাতে জন্ম নেয় আজকের এই রেথিয়ন কর্পোরেশন। আর এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ভ্যানেভার বুশ, লরেন্স কে. মার্শাল এবং চার্লস জি. স্মিথ।
মূলত বুশের নেতৃত্ব এবং বৈজ্ঞানিক অন্তর্দৃষ্টি, মার্শালের প্রকৌশল দক্ষতা এবং উদ্যোক্তা মনোভাব ও স্মিথের ইলেকট্রনিক্স ও রসায়নের প্রযুক্তিগত অবদানকে পুঁজি করেই বিশ্বসেরা কর্পোরেশনে পরিণত হয়েছে আজকের এই অবস্থানে।
রেথিয়নের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ভ্যানেভার বুশ (vannevar bush) টাফ্টস কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি একই কলেজ থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি গবেষক এবং প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। অন্যদিকে লরেন্স কে. মার্শাল (laurence k marshall) হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক পাশ করে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কাজ করেন। লরেন্স এবং চার্লস জি. স্মিথ (charles g smith) ছাত্রজীবনে টাফ্টস কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। মজার ব্যাপার হলো সেখানেই ভানেভার বুশের অধীনে স্মিথ পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর তিনি রসায়নবিদ ও গবেষক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি কাজ করেন একজন রেফ্রিজারেশন এবং ইলেকট্রনিক্স এক্সপার্ট হিসাবে।
[প্রথম পণ্য]
এই ৩ ইন্টেলিজেন্ট নিয়ে রেথিয়ন কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। বাজারে আসে তাদের ব্র্যান্ড নিউ প্রোডাক্ট গ্যাস–ভরা রেকটিফায়ার! এই গ্যাস–ভরা রেকটিফায়ার সাধারণত হোম রেডিওতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বলে রাখা ভালো রেথিয়ন কর্পোরেশনের এই চমৎকার উদ্ভাবনের কারণেই মূলত হোম রেডিওকে সরাসরি বৈদ্যুতিক সকেটে প্লাগ করে ব্যবহার করার নিয়ম শুরু হয়।
S-Tube-এর সাফল্য দ্রুত রেথিয়নকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ডে পরিণত করে।
[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবস্থান]
এদিকে রেথিয়ন কর্পোরেশনের ব্যবসা যখন বেশ ভালো চলছিল তখনি দেখা দেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। আর তখনি রেথিয়ন কতৃপক্ষ প্রতিরক্ষা বিষয়ক যন্ত্রাংশ প্রস্তুতের দিকে ফোকাস করে। কোম্পানিটি মিত্রবাহিনীর জন্য রাডার প্রযুক্তি বাজারে আনে। সরাসরি অবদান রাখতে শুরু করে ম্যাগনেট্রন ডেভেলপমেন্টে।
মজার ব্যাপার হলো রেথিয়ন কর্পোরেশনের এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মিত্রবাহিনীর বিজয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো। বিশেষ করে এই প্রযুক্তি শত্রু বিমান এবং জাহাজের সনাক্তকরণ ও ট্র্যাকিং বেশ উপকারে আসে!
জানা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ নাগাদ, রেথিয়ন মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য রাডার সরঞ্জামের অন্যতম বৃহৎ সোর্স হিসাবে কাজ করেছিলো!
[যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থান]
যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে রেথিয়ন তাদের উদ্ভাবনে বৈচিত্র্যতা আনার চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসাবে ১৯৪৫ সালে রেথিয়নের একজন ইঞ্জিনিয়ার দুর্ঘটনাবসিত মাইক্রোওয়েভ ওভেন আবিষ্কার করে বসে!
[প্রথম মাইক্রোওয়েভ ওভেন আবিষ্কার]
রেথিয়নের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পার্সি স্পেন্সার (percy spencer) এক্টিভ রাডার সেট কাজ করার সময় তিনি দেখেন তার পকেটে থাকা ক্যান্ডি বার পুরোপুরি গলে গিয়েছে! এই ধারণা থেকেই একসময় স্পেন্সার রান্নার জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করার ধারণা পায় । এর পরে তিনি একটি উচ্চ ঘনত্বের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড জেনারেটর একটি বদ্ধ ধাতব বাক্সের সাথে সংযুক্ত করেন যা এক ধরণের প্রোটো–মাইক্রোওয়েভ ওভেন তৈরি করে যাতে তিনি বিভিন্ন ধরণের খাবারের সাথে পরবর্তী পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করেন এবং সফল হন । এর ঠিক দু বছর পরে ১৯৪৭ সালে রেথিওন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্যাটেন্ট নিজেদের নামে করে নেয় এবং বাজারে বেরোয় প্রথম মাইক্রোওয়েভ ওভেন৷ যদিও প্রাথমিকভাবে এই প্রোডাক্টের মডেলগুলি বেশ বড় এবং অনেক ব্যয়বহুল ছিল।
তবে এতোকিছুর পরও মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তি শেষ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে!
[মিসাইল তৈরি]
সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট ছাড়াও রেথিয়ন কর্পোরেশন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিসাইল সিস্টেম তৈরি এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়েও কাজ করেছে। বলা হয়ে থাকে রেথিয়ন কোম্পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিলো লার্ক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা। যা প্রথম সফল সারফেস–টু–এয়ার মিসাইলগুলির মধ্যে একটি !
তাছাড়া ইলেকট্রনিক্স এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে রেথিয়নের দক্ষতা এবং অবদান একেবারে দেখার মতো! যার কারণে কোম্পানিটি অল্প সময়ে নিজেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য একটি নেতৃস্থানীয় কর্পোরেশনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। এর পেছনে রেথিয়নের শ্রমও কিন্তু কম নয়! যেমন ধরুন উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকি স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর জন্য দিনরাত কাজ করে কোম্পানিটি।
১৯৮০ সালের এই স্নায়ু যুদ্ধের সময়টাতে রেথিয়নের প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
[উত্থান এবং বর্তমান পরিস্থিতি]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই কপাল খুলে যাওয়া রেথিয়ান কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে ভাগ্য বরাবরের মতোই সহায় ছিলো।
তবে রেথিয়ান কর্পোরেশনের জন্যে টার্নিং পয়েন্ট ছিলো বিচক্র্যাফ্ট (beechcraft) অধিগ্রহণকালীন সময়টি। ১৯৮০ সালে যখন রেথিয়ান কর্পোরেশন বিচক্র্যাফ্ট (beechcraft) কোর্পরেশনের অধিগ্রহণে চলে আসে তখন কোম্পানিটির সেক্টর অনেকটাই বড় হতে থাকে। শুরু হয় বিমান চলাচল এবং সামরিক বিমানের সেক্টরগুলিতে পরিচালনা করা বিভিন্ন প্রজেক্ট।
এরই অংশ হিসাবে ১৯৮৯ সালে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেমের প্রবর্তন ছিল রেথিয়নের জন্যে বিশেষ একটি অর্জন। যা ছিলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার সাথে সম্পর্কিত একধরণের বিশেষ টেকনোলজি। যেই টেকনোলজির সাহায্যে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকি স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো সম্ভব হয়েছিলো!
বর্তমানে রেথিয়ান কর্পোরেশন অনেক হাই–প্রোফাইল ডিফেন্স প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্য নেক্সট জেনারেশন জ্যামার, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে। সাথে নিয়েছে প্রতিরক্ষার জন্য স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-3 এবং টমাহক ক্রুজ মিসাইল সম্পর্কিত কর্মসূচি।
জানা যায় রেথিয়ানের এই ডিফেন্স সেক্টরের সাথে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ, ন্যাটো মিত্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাদের মাঝেও বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাডার সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা এবং সাইবার সিকিউরিটি সাহায্য রেথিয়ান কাজ করছে আন্তজার্তিক নিরাপত্তা নিয়ে।
[ডার্ক সাইড]
তবে রেথিয়ান কর্পোরেশনের এতো এতো সফল কর্মসূচি মাঝেমধ্যে ঢাকা পড়ে যায় কোম্পানিটির বিভিন্ন বিতর্কের কারণে! যেমন ধরা যেতে পারে সেই বানকম্ব কাউন্টির কথা যাদের বাসিন্দা দের অভিযোগ স্থানীয় সরকার সত্তেও রেইথিয়ন এর সহযোগি প্রতিষ্ঠান প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি এর কারখানা স্থাপনের অনুমতি প্রদান করে। অভিযোগ আছে তারা অনুমতির জন্য ঘুষ প্রদানেও পিছপা হয়নি।
বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বিক্রির কারণে অসংখ্য সমালোচনার জন্ম দিয়েছে রেথিয়ন। বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে রেথিয়নের অস্ত্রের ব্যবহার কোম্পানিটির গায়ে নেতিবাচক সমালোচনার তকমা লাগিয়ে দিয়েছে।
রেথিয়ন প্রায়ই ট্যাক্স ডলার ব্যবহার করে থাকে বলে জানা যায়। ট্যাক্স ডলার বলতে বিভিন্ন ধরনের কর, যেমন আয়কর, বিক্রয় কর, সম্পত্তি কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্সের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং ব্যবসার কাছ থেকে সরকারী সংস্থার দ্বারা সংগৃহীত অর্থকে বোঝানো হয়। রেথিয়নও সরকার থেকে এই ট্যাক্স ডলারের অনেক বড় একটি অংশ নিজের দখলে রাখে।
পাশাপাশি গুঞ্জন উঠেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতি এবং বাজেট বরাদ্দকে প্রভাবিত করার পর রেথিয়ান ব্যাপক লবিং করার চেষ্টা করে । তাছাড়া রেথিয়ন এ যাবতকালে অসংখ্য বার পরিবেশগত দূষণ সম্পর্কিত আইনি এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। যার বিচার হয়েছে খুবি কম
এছাড়া নৈতিকতা ভুলে রেথিয়ন কোল্ড ওয়্যারের সহায়ক হিসেবে নতুন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করেছিলো। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় রেথিয়ন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেছে। কাজ করেছে উন্নত রাডার প্রযুক্তি নিয়ে। পাশাপাশি সামরিক অভিযান আরো সহজ করতে প্রাইমারি কম্পিউটিংয়ে।
তবে সে যাইহোক! একথা সত্যি যে রেথিয়ান বর্তমানে বিভিন্ন টেকনোলজিস, প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ সেক্টরে একটি বিশাল স্থান দখল করে বসে আছে। বজায় রাখছে বৈশ্বিক নিরাপত্তার গতিশীলতা।
তবে এর পাশাপাশি যুদ্ধ এবং প্রতিরক্ষার মতো সেক্টরের ভবিষ্যত গঠনে রেথিয়নের মতো কোম্পানিগুলির ভূমিকা এবং দায়িত্বও বেশ সমালোচনামূলক হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য এবং তত্ব নিয়ে চলছে কঠোর যাচাই–বাছাই এবং বিতর্ক।
কারণ “প্রতিটি ব্র্যান্ডকেই আলোচনা–সমালোচনার মাঝে যেতে হয় আর এটিই বিজনেস ন্যাচারের এক অলিখিত নিয়ম”!
অস্ত্র ব্যবসার শির্ষে থাকা আর এক কোম্পানি লকহীড মার্টিন সম্পর্কে জানতে পড়ুন এই ব্লগটি। সেই সাথে বিজনেস ম্যানিয়া নিউজলেটারটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না কিন্তু!!